সন্দেশখালির পর একই ঘটনা দিনহাটায়
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারী : সন্দেশখালিতে একের পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগ উঠেছে, রাতেই সেখানকার মহিলাদের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অনেক নারী গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন। বেঙ্গল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ রাজীব কুমার বুধবার সন্দেশখালি পরিদর্শন করেছেন, যখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ডিজির কাছে রিপোর্ট চেয়েছে, তবে এর মধ্যে দিনহাটায়ও ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। রাতে পার্টি অফিসে ফোন করার অভিযোগ করেছেন মহিলারা। তিনি সাড়া না দিলে বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ ওঠে।
দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকার নির্যাতিতা মহিলা অভিযোগ করেন, “দিলীপ ভট্টাচার্যের গুন্ডারা আমাকে মধ্যরাতে পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। রাত বারোটায় পিঠা বানাতে বলা হলো। নারীরা কি সম্মান করে না? সে মাঝে মাঝে আমার বাসায় আসতো এবং আমাকে নির্যাতন করতো। আমি বললাম আমাকে বাঁচতে দেবে না?
তিনি আরও বলেন, “আমি হাত জোড় করে বলছি। আমাকে একটু বাঁচতে দাও, আমি তোমাকে সম্মান করি। আমি না গেলে মাঝরাতে লোকজন এসে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে। তার উদ্দেশ্য খারাপ। কিন্তু আমি সেরকম নারী নই।"
তিনি বলেন, “রাত ১২ টায় তৃণমূলের গুন্ডা আমাকে পার্টি অফিসে ডেকেছিল। পিঠা বানানোর কথা বললেন। তার উদ্দেশ্য খারাপ ছিল। আমি রাজি না হলে পরদিন রাত ৯টার দিকে তারা এসে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে। আমার মাথায় বন্দুক ।
আরেক মহিলা বলেন, “পরের দিন ভোট গণনার পর তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। আমার স্বামীকে পাওয়া যায়নি। এরপর তারা আমাকে ধরে ফেলে।গত কয়েক মাসে এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। কিন্তু ভয়ে এখন পর্যন্ত কেউ মুখ খোলেননি। সন্দেশখালির ঘটনার পর এখন এগিয়ে আসছে দিনহাটার নির্যাতিতারা। ইতিমধ্যেই দুজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।"
এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, সন্দেশখালিকে সামনে রেখে বিজেপি এখন নতুন গল্প শুরু করেছে। আমি জানি না কোনো নেতা ১০টার পর বাইরে থাকেন কি না। "লোকেরা যদি মনে করে আমি এটা করতে পারব, মানুষ আমার থেকে দূরে থাকবে," তিনি চ্যালেঞ্জ করেন।
দিনহাটার এই ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “কোচবিহারের অনেক এলাকায় আইনশৃঙ্খলার সমস্যা রয়েছে। অভিযোগের তদন্ত না করে যারা অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া আমাদের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সে কারণেই সন্দেশখালীর মতো ঘটনা ঘটেছে।"
No comments:
Post a Comment