বাংলার বাজেটে বিশেষ কী থাকবে? - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Monday, 5 February 2024

বাংলার বাজেটে বিশেষ কী থাকবে?



 বাংলার বাজেটে বিশেষ কী থাকবে?


নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ০৫ ফেব্রুয়ারী : সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে বাংলায় বাজেট অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে।  ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশ করা হবে।  রাজ্যের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শোভানদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন যে বাজেট অধিবেশন ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।  কিন্তু রাজ্য সরকারের একটি সিদ্ধান্তের কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল ডাঃ সিভি আনন্দ বোসের মধ্যে বিরোধ আবার তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  আসলে, এদিন থেকে রাজভবনে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।  রাজভবনের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভায় তাঁর বক্তৃতার বিষয়ে রাজ্যপাল এখনও সরকারের কাছ থেকে কোনও তথ্য পাননি। তাই রাজ্যপালের বক্তৃতা ছাড়াই অধিবেশন শুরু হবে কিনা সন্দেহ?


 আধিকারিকদের মতে, এবারের বাজেট প্রস্তাবে নারী ও যুবকদের জন্য নতুন কল্যাণমূলক প্রকল্প ঘোষণা করা হতে পারে।  ২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্য সরকার একটি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছিল এবং সাধারণ নির্বাচনের পরে সম্পূর্ণ বাজেট পেশ করা হয়েছিল।

 

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।  এর পর আগামীকাল অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ কমিটির বৈঠকে অংশ নিতে তিনি দিল্লি রওনা হবেন।  মমতা ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের ভাবনার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছিলেন।  এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত মাসে উচ্চপর্যায়ের কমিটিকে চিঠি দিয়েছিলেন।  চিঠিতে তিনি বলেছিলেন যে 'এক জাতি এক নির্বাচন' দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থার মূল কাঠামোর বিরুদ্ধে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্য তহবিলের দাবিতে ধর্নায় বসেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে তিনি 'এক জাতি এক নির্বাচন' বিষয়ে বৈঠকের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি সফর করবেন।


 সরকার 'এক দেশ এক নির্বাচন' নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে।  প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই কমিটির চেয়ারম্যান।  তিনি ছাড়াও এই কমিটিতে আরও সাত সদস্য রয়েছেন।  বিরোধীদের মধ্যে রয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী নেতা গুলাম নবী আজাদ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে এবং প্রাক্তন মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি।  বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোর কথা মাথায় রেখে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দল ও নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন এসব মানুষ।  সবার মতামত নিয়ে একটি খসড়া তৈরি করা হবে, এরপর আইন প্রণয়নে এগিয়ে যাবে সরকার।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad