বেআইনি মসজিদ ও সমাধি ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা, অগ্নিসংযোগ
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ ফেব্রুয়ারী : উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানি শহরের অভ্যন্তরে বেআইনি সমাধি ও মসজিদ ভেঙে ফেলাকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি হয়েছে প্রশাসন ও স্থানীয় মানুষ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর চারিদিকে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং লাগাতার কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। জেলার পুরো বাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের সব আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। এই ঘটনার বিষয়ে ফোনে আলাপকালে ডিজিপি অভিনব কুমার বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত আছি এবং পরিস্থিতির অবনতি হতে দেওয়া হবে না।
এদিন হলদোয়ানির বনভুলপুরা থানার অন্তর্গত মালিকের বাগানে জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে পৌর কর্পোরেশনের দল বেআইনি মাদ্রাসা ও নামাজের জায়গা গুঁড়িয়ে দেয়। এই সময় পৌর কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায়, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট রিচা সিং, এসডিএম পরিতোষ ভার্মা সহ বিপুল সংখ্যক পৌর কর্পোরেশন দল উপস্থিত ছিলেন। যেখানে জেসিবি দিয়ে অবৈধ মাদ্রাসা ও নামাজের স্থান উচ্ছেদ করা হয়। এই অভিযানের সময় মালিকের বাগানের আশেপাশে বসবাসকারী সমস্ত উচ্ছৃঙ্খল উপাদান পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। এতে অনেক পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন, পরে পুলিশ অসাধুদের বিরুদ্ধে জোরদার ব্যবস্থা নেয় এবং কাঁদানে গ্যাসও ছেড়ে দেয়।
এই সময়ে, এসএসপি নৈনিতাল প্রহ্লাদ মীনা, বনভুলপুরা থানার এসও নীরজ ভাকুনি, এসও মুখনি এসও প্রমোদ পাঠক, কালাধুঙ্গির এসও নন্দন সিং রাওয়াত সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পৌর কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায় বলেন, অবৈধ মাদ্রাসা ও নামাজের স্থান সম্পূর্ণ অবৈধ। যার কাছে পৌর কর্পোরেশন আগে তিন একর জমি দখলে নিলেও অবৈধ মাদ্রাসা ও নামাজের জায়গা সিলগালা করে দিয়েছে। এখন আজ তা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, অভিযান চলাকালীন পাথর নিক্ষেপকারী অসাধু উপাদানকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment