নিজের ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য দায়ী হলেন মা
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারী : হুগলিতে নিজের ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুর কারণ হল এক মা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। মা প্রথমে তার ছেলের হাতের রগ কেটে দেন, কিন্তু যখন তিনি মারা যাননি, তখন তিনি তার নিজের ৮ বছরের ছেলেকে মূর্তি দিয়ে আঘাত করে প্রাণ কেড়ে নেন। ৮ বছরের নিষ্পাপ ছেলেটি চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কিন্তু কেউ তার চিৎকার শুনতে পায়নি। হুগলির কোননগরে, অভিযুক্ত মা তার গোপন কথা প্রকাশের ভয়ে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। ৮ বছর বয়সী শ্রেয়াংশু তার মায়ের গোপন কথা জানতে পেরেছিলেন, যা তিনি সম্ভবত কাউকে বলতে চাননি। শেষ পর্যন্ত সমাজ ও পরিবারের ভয়ে নিষ্পাপ সন্তানের জীবন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মা।
পুলিশ জানায়, শ্রেয়াংশুর মায়ের সঙ্গে তার বান্ধবীর সমকামী সম্পর্ক ছিল, যা তার ছেলে জানতে পেরেছিল। তার মা শান্তা শর্মা এবং বন্ধু ইশরাত ভয় পেয়েছিলেন যে শ্রেয়াংশু হয়তো তাদের সম্পর্কের রহস্য সবার কাছে প্রকাশ করবে। এই ভয়ে দুজনে মিলে শ্রেয়াংশুকে খুন করে। পুলিশ তদন্তে, সিসিটিভি ফুটেজে সে কীভাবে নিষ্পাপ শিশুটিকে হত্যা করেছে তার রহস্য উদঘাটন করেছে।
শ্রীরামপুরের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস জানিয়েছেন, ছেলেকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় শ্রেয়াংশুর মা ও তার বন্ধুর মধ্যে সমকামী সম্পর্ক প্রকাশ্যে এসেছে। তাদের সম্পর্কের সত্যতা জানতেন শ্রেয়াংশু। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে এই দুই বন্ধুর মধ্যে সমকামী সম্পর্ক ছিল বিয়ের আগে। ইশরাত ও শান্তা দুনিয়ার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন এমন পুরনো গোপন কথা যদি সবার সামনে চলে আসে, তাহলে সমাজ তাদের বাঁচতে দেবে না।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শ্রেয়াংশুর খুনের ঘটনা প্রকাশ করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্যমতে, শ্রেয়াংশুকে খুন করেছে ইশরাত এবং শান্তা তাকে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছিল। সবার আগে শ্রেয়াংশুর হাত থেকে রগ কেটে দেন। এর পরেও শ্রেয়াংশু বেঁচে যাবে এই আশঙ্কায় পাশে রাখা মূর্তি দিয়ে মাথায় কয়েকবার আঘাত করে হত্যা করেন। উত্তরপাড়া থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান ডিসিপি।
No comments:
Post a Comment