শাহজাহান শেখকে গ্রেফতারের দাবিতে সন্দেশখালীতে পুলিশের হাতে আটক সুকান্ত মজুমদার
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২২ ফেব্রুয়ারী : শাহজাহান শেখকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভরত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। সন্দেশখালীতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা এবং মহিলাদের যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সন্দেশখালি থানার বাইরে বসেছিলেন তারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যান তিনি। সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ সতর্ক করেছিল। ঠিক তখনই থানার ভিতর থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী বেরিয়ে আসে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুকান্ত সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের থানার সামনে থেকে ধামাখালি ঘাটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তার তুমুল ধস্তাধস্তি হয়।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলতে থাকেন, 'দেখুন, পুলিশ কীভাবে আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে, টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এসবের মধ্যেই পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে ইলেকট্রিক রিকশায় বসিয়ে ধামাখালী ঘাটে নিয়ে যায়। মোতায়েন করা হয়েছে ভারী পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স এবং আরএএফ।'
পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে ধামাখালী ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে বঙ্গ বিজেপি সভাপতিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। সুকান্ত এবং অন্যান্য বিজেপি নেতা ও কর্মীদের মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে পুলিশ কিছু চেষ্টা করেছিল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “একজন তৃণমূল নেতা আমার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করতে পারেন না। আমাকে যেভাবে টেনে নিয়ে গেছে। এটা পুলিশ করতে পারে। একমাত্র বিরোধী দল বিজেপিই পারে এমন নৃশংসতা করতে। শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের এই তৎপরতা দেখা যায়নি। সুকান্তের দাবি, লঞ্চের সময় পিআর বন্ডে সই করে প্রথমে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে জামিন দেওয়া হয়।"
উল্লেখ্য, আট দিন আগে সুকান্ত মজুমদারকে সন্দেশখালী যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে বুধবার তিনি সন্দেশখালীতে ফিরে আসেন। প্রথমে তিনি বসিরহাট মহকুমায় যান। সন্দেশখালি মামলায় গ্রেফতার বিজেপি কর্মীদের সেখানে রাখা হয়েছে। সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি সন্দেশখালীতে যান।
এরপর সুকান্ত মজুমদারকে আবারও গ্রেফতার করে পুলিশ। লোকজন নিয়ে তাকে সন্দেশখালী যেতে দেওয়া হয়নি, তাই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে একাই যান তিনি।
সন্দেশখালি পৌঁছে সুকান্ত মজুমদার প্রথমে বিকাশের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে চলে যান থানার দিকে। তিনি থানার ওসির সঙ্গে দেখা করতে চান। তিনি বলেন, তিনি পুলিশের কাছে জানতে চান কেন তার দলের কর্মীদের 'কোন ভুল ছাড়াই' আটক করা হয়েছে। কিন্তু থানায় পৌঁছানোর আগেই পুলিশ বাধা দেয়।
তিনি বলেন, শাহজাহানকে গ্রেফতার করা উচিৎ। তাদের কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। ডিজি এখানে রাতে বিশ্রাম নেন। প্রয়োজনে আমিও সারা রাত এখানে বসে থাকব। পরে পুলিশ তাকে জোরপূর্বক হেফাজতে নিয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment