কীভাবে ভীমের নাম রাখা হয়?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৫ ফেব্রুয়ারী : মহাভারতের গল্পে পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা এবং তাদের বিজয়ের গল্প বলা হয়েছে। পাণ্ডব ভাইদের মধ্যে ভীম ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে, যার শক্তির সামনে কেউ সহজে দাঁড়াতে পারতো না। মহাভারতের যুদ্ধও ভীম দুর্যোধনকে হত্যা করে শেষ করেছিলেন। এমনকি ইন্দ্রও তাকে পরাজিত করতে পারেননি বলে কথিত আছে।
পিতার মৃত্যুর পর পান্ডবরা হস্তিনাপুরে ফিরে এলে একদিন দুর্যোধন জলক্রীড়ার আয়োজন করেন এবং খাবারেরও ব্যবস্থা করেন।ভীম হ্রদ থেকে বের হলে দুর্যোধন তাকে খাবারের জন্য ডাকলেও দুর্যোধন তার মামা শকুনিকে ডাকেন।ভীমের সাথে ষড়যন্ত্র করেন তিনি। খাবারে বিষ মিশিয়ে ভীমকে খাওয়ানো হয়। খাবার খেয়ে ভীম অজ্ঞান হয়ে গেলেন, এরপর দুর্যোধন দুশাসন শকুনির সাথে ভীমকে একটি ষাঁড়ের সাথে বেঁধে গঙ্গায় ফেলে দেন।
অজ্ঞান অবস্থায় ভীম নাগলোকে পৌঁছান যেখানে তাকে সাপে কামড় দেওয়া হয় এবং বিষের প্রভাব কমে যায়। ভীম নাগলোকের সমস্ত সাপকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।এই সব দেখে তক্ষক ভীমকে শায়েস্তা করতে যাচ্ছিলেন।একই সময় কুন্তীর মাতামহ ভীমকে চিনতে পারলেন এবং নাগরাজ তক্ষককে ভীমকে অমৃত সোমরস দিতে বললেন। অমৃত সোমরস দেওয়ার সময় তক্ষক ভীমকে বলেছিলেন যে একটি বাটিতে এক হাজার হাতির শক্তি এবং ভীম দশটি বাটি অমৃত সোমরস পান করেছিলেন যা তাকে দশ হাজার হাতির শক্তি দিয়েছিল।
ভীমের শক্তি সম্পর্কিত অনেক মজার গল্প আছে। ভীমের জন্মের সাথে সাথে তার মা কুন্তী তাকে পান্ডুর কাছে নিয়ে যান, তারপর পান্ডু ভীমকে দেখে ধ্যানে চলে যান। কুন্তী তার স্বামী পান্ডুর অপেক্ষায় কুঁড়েঘরের বাইরে বসে ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে একটি বাঘ এসে হাজির। ভীমের হাত থেকে কুন্তীর হাত ছুটে যায়। কুন্তী পরে যখন ভীমের খোঁজে পাণ্ডুর কুঁড়েঘরে গেলেন, তখন তিনি দেখলেন ভীম একটি বড় পাথরের টুকরোতে পড়ে আছে, পাথর টুকরো হয়ে গেলেও ভীমের কিছুই হয়নি। এসব দেখে তার পিতা পান্ডু তার নাম রাখেন ভীম।
No comments:
Post a Comment