এই রাস্তাকে রোড টু হেভেন বলা হয়, কেন জানেন?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৫ জানুয়ারি : গুজরাটের কচ্ছ অঞ্চল তার সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এখানকার সাদা মরুভূমি সম্পর্কে সবাই অবগত, তবে পাছাম এবং খাদিরের মধ্যবর্তী সাদা মরুভূমির মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা কেটে এখন নিজেই একটি পর্যটন গন্তব্য। কারণ এই রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বিস্তীর্ণ মরুভূমি এবং এই বিস্তীর্ণ মরুভূমির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় মানুষ এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করে। তাই তারা এই রাস্তাটিকে ‘স্বর্গের রাস্তা’ও বলে। কচ্ছের রণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
কেন এটা বিশেষ:
কচ্ছের লাখপত তালুকের ঘাদুলি থেকে পাটানের সাঁওতালপুর তালুকা পর্যন্ত একটি ২৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়ক তৈরি করা হচ্ছে, যার ২৮ কিলোমিটার সাদা মরুভূমির মধ্য দিয়ে গেছে। এই মহাসড়কটি পর্যটন সার্কিট এবং কচ্ছের পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসাবে প্রমাণিত হবে। কিন্তু গত ৪ বছর ধরে চলমান কাজের কারণে পর্যটকরাও এর নির্মাণ নিয়ে অধীর হয়ে পড়েছেন।
ভুজ তালুকের খাভদা গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরে, এই রাস্তাটি মরুভূমির মধ্য দিয়ে গেছে। বিস্তীর্ণ মরুভূমির মধ্য দিয়ে যাওয়া এই সোজা রাস্তাটি ধারণা দেয় যে মরুভূমি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে। বর্ষার বৃষ্টি এবং কচ্ছের উত্তর সমুদ্রসীমা থেকে জল আসার কারণে মরুভূমি প্লাবিত হয়। সে সময় জলে ভরা এই মরুভূমির মধ্য দিয়ে যাতায়াতকারীদের জন্য এই রাস্তাটি মরুভূমি ও সমুদ্রের পার্থক্য মুছে দেয়। এই অনুভূতি উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসছেন কচ্ছে।
রাস্তার কাজ এখনো চলছে:
তথ্যমতে, ২০১৯ সালে এ সড়কের কাজ শুরু হলেও ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এ সড়কের কাজ চলছে। এই রাস্তার কাজ শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে বলে মনে করেন ধলাভিরা গ্রামবাসী। যেখানে এই বছরের শুরুর দিকে কচ্ছে অনুষ্ঠিত G২০ সম্মেলনের জন্য রাস্তার একটি মাত্র লেন সম্পন্ন হয়েছিল। এ সড়কের কাজ শেষ হলে ‘রোড টু হেভেন’ সড়কে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে।
No comments:
Post a Comment