রাম সেতু নির্মাণে কাঠবিড়ালির অবদান
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৩ জানুয়ারি : ভগবান শ্রী রামের অনেক ভক্ত ছিল। যার মধ্যে হনুমান ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী। কিন্তু আজ আমরা শ্রী রামের সবচেয়ে ছোট ভক্ত কাঠবিড়ালি সম্পর্কে জানবো, যিনি রাম সেতু নির্মাণে তাঁর অমূল্য অবদান রেখেছিলেন-
কাঠবিড়ালির গল্প:
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, রাবণ মাতা সীতাকে অপহরণের পর, মা সীতাকে ফিরিয়ে আনতে ভগবান শ্রী রামকে তার সেনাবাহিনী নিয়ে লঙ্কায় যেতে হয়েছিল, কিন্তু লঙ্কা চারদিক থেকে সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত ছিল। সমুদ্র পেরিয়েই লঙ্কায় পৌঁছনো যেত। এরপর রামসেনা সমুদ্রের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু করেন।
সেতু নির্মাণের জন্য রামসেনা পাথর থেকে বড় বড় পাথর ভেঙ্গে তাতে রামের নাম লিখত, তারপর সেই পাথরগুলিকে জলে ফেলে দেওয়া হত। ওই পাথরগুলোর গায়ে রামের নাম লেখা থাকায় সেগুলো জলে ডুবে না গিয়ে ভাসতে থাকে।
ভগবান শ্রী রাম সেতু নির্মাণে তাঁর সমগ্র সেনাবাহিনীর উদ্যোগ, উদ্দীপনা, ভালবাসা এবং উৎসর্গ দেখে খুশি হন। পুরো সেনাবাহিনী যখন ব্রিজ তৈরিতে ব্যস্ত, তখন সেনাবাহিনীর একটি বানর একটি ছোট কাঠবিড়ালিকে লক্ষ্য করে যেটি তার মুখে ছোট ছোট নুড়ি, পাথর এবং বালি নিয়ে সেতুর উপর ফেলে দিচ্ছে।
কাঠবিড়ালিকে বারবার এমন করতে দেখে বানর তাকে ঠাট্টা করে বলে, “ওরে ছোট কাঠবিড়ালি, এখানে একটা ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে, এখানে কি করছ? এখান থেকে চলে যাও"।
এতে কাঠবিড়ালিটি খুব দুঃখ পেয়ে ভগবান শ্রীরামের কাছে কান্নাকাটি করতে লাগল। কাঠবিড়ালিটি ভগবান শ্রী রামকে পুরো ঘটনাটি বলল। তখন ভগবান শ্রী রাম সৈন্যদের কাছে গিয়ে তাদের বললেন, “তোমরা সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখ, সমুদ্রে যে বড় বড় পাথর ফেলেছ তার মাঝে ছোট ছোট গর্ত আছে যা সেতুটিকে দুর্বল করে দিতে পারে। ছোট কাঠবিড়ালির ছোট পাথর এবং বালি বড় পাথরের মধ্যে গর্ত ভরাট করছে যাতে বড় পাথরগুলি একসাথে সংযুক্ত থাকে এবং এখানে-ওখানে ভেসে আলাদা হয়ে না যায়। সেতু নির্মাণে ছোট কাঠবিড়ালিরও অমূল্য অবদান রয়েছে আপনাদের সবার মতো।
No comments:
Post a Comment