ঘরে গঙ্গাজল রাখার নিয়ম
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি : গঙ্গাজলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে গঙ্গা নদীকে মায়ের মতো এবং এর জলকে অমৃত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মা গঙ্গাকে বলা হয় মোক্ষদাত্রী। তাই মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির মুখে গঙ্গাজল ঢেলে দেওয়ার রীতি রয়েছে। মা গঙ্গার জল এতটাই বিশুদ্ধ যে তা কখনও পচে না এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এতে বেঁচে থাকতে পারে না। এই কারণেও গঙ্গার জলকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
বিশ্বাস অনুসারে, মা গঙ্গার জলে স্নান করা ব্যক্তির সমস্ত পাপ ধুয়ে তাকে পবিত্র করে। এ কারণে গঙ্গা নদীতে স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হয়। অনেক উৎসবে লাখ লাখ ভক্ত গঙ্গা নদীতে স্নান করতে আসেন। পূজায় পবিত্র গঙ্গার জলও ব্যবহার করা হয়। অনেকেই বাড়িতে বা বাড়ির মন্দিরে গঙ্গা জল রাখেন, তবে গঙ্গা জল রাখার কিছু নিয়ম আছে, তবেই গঙ্গা জল ঘরে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
গঙ্গা জলের পাত্র:
বেশির ভাগ মানুষই প্লাস্টিকের বোতলে বা ক্যানে গঙ্গাজল নিয়ে বাড়িতে এসে এভাবে রেখে দেন, যা খুবই ভুল বলে মনে করা হয়। গঙ্গার জল অত্যন্ত পবিত্র, তাই এটি রাখার পাত্রটিও বিশুদ্ধ হওয়া উচিত। রূপা, তামা, পিতল বা মাটির পাত্রে গঙ্গা জল রাখা উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
গঙ্গার জল সংরক্ষণের জায়গা:
বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গা জল একটি পরিষ্কার এবং অন্ধকার জায়গায় রাখা উচিত। শুধুমাত্র একটি অন্ধকার এবং পরিষ্কার স্থান গঙ্গা জল রাখার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। গঙ্গার জল রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় বা খোলা জায়গায় রাখা উচিত নয়। রান্নাঘর বা বাথরুমের কাছে গঙ্গার জল রাখা উচিত নয়।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন :
উপাসনালয়ের কাছে গঙ্গা জল রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। যেখানেই গঙ্গার জল রাখবেন, সেই জায়গার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিন।
গঙ্গার জল যেখানে রাখা আছে সেখানে এই কাজটি করবেন না।
গঙ্গার জল যেখানে রাখা হয়, সেই জায়গাটি সম্পূর্ণ শুদ্ধ হতে হবে। কোনো ঘরে যদি গঙ্গাজল রাখা থাকে, তাহলে ভুল করেও সেখানে আমিষ বা মদ খাওয়া উচিত নয়।
No comments:
Post a Comment