রামলালাকে দেওয়া হবে এই অনন্য জাতের চাল
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১২ জানুয়ারি : ২২ জানুয়ারী, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন, রাম লালাকে একটি বিশেষ ধরণের চাল দেওয়া হবে। জেনে নেওয়া যাক রামলালাকে দেওয়া এই চালের বিশেষত্ব-
২২শে জানুয়ারি যে চাল দেওয়া হবে তা বিহারের কাইমুর জেলার মোকরি গ্রামে উৎপাদিত হয়। এই চাল অন্যান্য জায়গায়ও পাওয়া যায় কিন্তু এখানকার বিশেষত্ব আলাদা।
এই বিশেষ জাতের চাল তার বিশেষ সুগন্ধ ও গুণের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। গ্রামবাসীদের মতে, যে কৃষকের জমিতে এই ধান উৎপন্ন হয় সে সারা বছর অন্য কোনো ফসল ফলায় না।
মোকরিতে এমন ৬ থেকে ৭টি কূপ রয়েছে যার মাধ্যমে বৃষ্টির জল পৌঁছায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ধানের কান মাসের পর মাস ক্ষেতে ডুবে থাকলেও এর গুণমানে কোনো প্রভাব পড়ে না।
বিশেষ বিষয় হলো কৈমুর পাহাড়ের ভেষজ গাছের ক্ষরণের জলও এই ধান ক্ষেতে পৌঁছায়। এটি চালকে সুগন্ধী করে তোলে।
গত বহু বছর ধরে রামলালকে নিবেদনের জন্য গোবিন্দ ভোগ চাল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষত্বের কারণে শুধু দেশেই নয় বিদেশেও এর বিশেষ চাহিদা রয়েছে।
উল্লেখ্য সোনার ফয়েল দিয়ে সজ্জিত একটি 'নাগাড়া' অযোধ্যায় আনা হয়। চম্পত রাই জানিয়েছেন, রাম মন্দির চত্বরে ৫০০ কেজির ড্রাম বা নাগাড়া বসানো হবে।
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেছিলেন যে এটি ভারতের একটি শিল্প, আমাদের প্রচেষ্টা এটিকে বাঁচিয়ে রাখা এবং উৎসাহিত করা। অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সাধু-ঋষিদের আগমন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
ড্রামটি নিয়ে আসা চিরাগ প্যাটেল জানান, এটি সোনা ও রূপার প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। কাঠামোতে লোহা ও তামার প্লেটও ব্যবহার করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন ডাবগার সম্প্রদায়ের লোকজন। হিন্দু সংস্কৃতির প্রতীক এই বিশাল ড্রামটি রাম মন্দিরে স্থাপন করার জন্য কর্ণাবতী মহানগরীর দরিয়াপুর এক্সটেনশনে তৈরি করা হয়েছে। গুজরাট বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আঞ্চলিক মন্ত্রী অশোক রাওয়াল নাগাড়াকে গ্রহণ করার সুপারিশ করে চিঠি পাঠিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment