জানেন কী কেন কুতুব মিনারের দরজা বন্ধ?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারি : দেশের রাজধানী দিল্লিতে যারা বেড়াতে আসেন তারা অবশ্যই কুতুব মিনারে যান। কিন্তু কুতুব মিনারের বন্ধ দরজার রহস্য কী, চলুন জেনে নেই-
কুতুব মিনারটি কুতুবউদ্দিন আইবক, ইলতুৎমিশ, ফিরোজ শাহ তুঘলক, শের শাহ সুরি এবং সিকান্দার লোদির মতো শাসকরা তাদের নিজ নিজ শাসনামলে নির্মাণ করেছিলেন। এটি দিল্লির মেহরাউলিতে অবস্থিত। প্রতি বছর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ পর্যটক ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্ব থেকে কুতুব মিনার দেখতে আসেন। এটি শুধুমাত্র বাইরে থেকে দেখতে পারেন। এর ভেতরে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না।
প্রায় ৪৩ বছর আগে এমনটি ছিল না। সে সময় পর্যটকদেরও ভেতরে যেতে দেওয়া হয়। আসুন জেনে নিই ৪৩ বছর আগে কি ঘটেছিল যে কুতুব মিনারের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।
এই দিনটি ছিল ১৯৮১ সালের ৪ ডিসেম্বর। সেদিন শুক্রবার হওয়ায় কুতুব মিনার পর্যটকে ঠাসা। সর্বত্র মানুষ ছিল। কুতুব মিনারের ভেতরেও বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারপরে এমন কিছু ঘটে যার কারণে চারদিক থেকে কেবল চিৎকার শোনা যায়।
তখন সকাল সাড়ে এগারোটা। কুতুব মিনারের ভেতরে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। তারপর হঠাৎ টাওয়ারের ভেতরের আলো নিভে যায়। এ সময় টাওয়ারের ভেতরে প্রায় ৫ শতাধিক লোক ছিল।
বাতি নিভে গেলেই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তখন জনতার মধ্যে কেউ গুজব ছড়ায় যে কুতুব মিনার পড়ে যাচ্ছে। সর্বত্র বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং লোকেরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে। কুতুব মিনারের ভিতরে পদদলিত হয়, লোকেরা একে অপরের উপরে উঠে যেকোনও উপায়ে কুতুব মিনার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে।
যখন পদদলিত হয়, তখন ভিতরের দৃশ্য ছিল ভয়াবহ। সেখানে বহু মানুষ আহত ও মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তৎকালীন সংবাদপত্র হিন্দুস্তান টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যে এই পদদলিত হয়ে ৪৫ জন নিহত হয়েছিল। যেখানে আহত হয়েছেন ২১ জন। এ কারণেই তখন থেকে কুতুব মিনারের দরজা বন্ধ।
No comments:
Post a Comment