ভোরামদেব মন্দিরের ইতিহাস
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৭ জানুয়ারি : ভারত সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত একটি দেশ। যেখানে সবাই নিজ নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতিকে সম্মান করে। ভারতের প্রতিটি কোণায় অবস্থিত প্রতিটি ধর্মের সাথে সম্পর্কিত স্মৃতিস্তম্ভ এবং মন্দিরগুলি দেশজুড়ে একতার সুতো বুনেছে। আমাদের দেশে এমন অনেক মন্দির রয়েছে যা দেশের ঐতিহ্যকে রক্ষা করে।আজ আমরা যে মন্দিরের কথা জানবো সেটি ছত্তিশগড়ের কবিরধাম জেলায় অবস্থিত, যা ভোরামদেব মন্দির নামে বিখ্যাত।
ভোরমদেব মন্দিরকে ছত্তিশগড়ের খাজুরাহোও বলা হয়। এই মন্দিরটিকে ওড়িশার সূর্য মন্দিরের সাথেও তুলনা করা হয়। এই মন্দিরটি এতই সুন্দর যে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসে। এই মন্দিরে শিবের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। ছত্তিশগড়ের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও ভোরামদেব বিখ্যাত। চলুন জেনে নেই সেই মন্দিরের কথা-
ছত্তিশগড়ের খুজরাহো:
১১ শতকে নির্মিত ভোরাম দেব মন্দিরকে ছত্তিশগড়ের খুজরাহো বলা হয়। খাজুরাহো মন্দিরে হাতে তৈরি মূর্তি যে কাউকে অবাক করে। ভোরামদেব মন্দিরের মূর্তিগুলোতে সুন্দর কারুকার্যের এক অনন্য সঙ্গম দেখা যায়। খাজুরাহো মন্দির ও ভোরামদেব মন্দিরের মূর্তিগুলো দেখলে মনে হয় না কোনো মানুষ এগুলো তৈরি করেছে। সুন্দর কারুকার্যের কারণে, ভোরামদেব মন্দিরকে খাজুরাহো মন্দিরের সাথে তুলনা করা হয়।
মন্দিরের সুন্দর কারুকার্য:
ভোরমদেব মন্দির একটি অতি প্রাচীন মন্দির, মন্দির জুড়ে পাথর কেটে সুন্দর খোদাই করা হয়েছে। যা দেখতে খুবই সুন্দর। এই মন্দিরের বৈষ্ণব এবং জৈন মূর্তিগুলি ভারতীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পের আভাস দেয়। মন্দিরের দেয়ালে স্থাপিত এই সুন্দর মূর্তিগুলো মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সারা বছর মানুষ এই মন্দিরে আসা-যাওয়া করে।
কীভাবে ভোরামদেব মন্দিরে যাবেন?
ছত্তিশগড়ের কবিরধাম জেলায় ভোরামদেবের প্রাচীন মন্দির অবস্থিত। মন্দিরে পৌঁছনোর জন্য বাস, ট্রেন এবং বিমান পথ বেছে নিতে পারেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মন্দিরে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment