এই দরগার রয়েছে এমন রহস্য
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৮ জানুয়ারি : আমরা জানি হাজি আলি দরগাহ মুম্বাইতে রয়েছে। আরব সাগরের মাঝখানে নির্মিত এই দরগাহ ৪০০ বছর ধরে এভাবেই রয়েছে। হাজী আলী দরগাহ আরব সাগরে মহালক্ষ্মী মন্দিরের কাছে অবস্থিত। শুধু মুসলমান নয়, হিন্দুরাও এখানে বেড়াতে আসেন। এখানে যেতে হলে ছোট ছোট পাথর পাড়ি দিতে হয়।
দরগাহ কবে নির্মিত হয়:
কথিত আছে, সৈয়দ পীর হাজী আলী বুখারীর স্মরণে ১৪৩১ খ্রিস্টাব্দে হাজী আলী দরগাহ নির্মিত হয়। এখানে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় দেখা যাবে। এটি ছাড়াও, এটি মুম্বাইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থান। হাজী আলী ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, সৈয়দ পীর হাজী আলী উজবেকিস্তানের বুখাপা প্রদেশ থেকে ভারতে আসেন।
গল্প :
বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের মতে, হাজি আলি ভারতে এলে বসবাসের জন্য বেছে নেন মুম্বাইয়ের ওরলি এলাকা। কথিত আছে, এখানে থাকার সময় তিনি এই জায়গাটিকে খুব পছন্দ করতে শুরু করেন। এখানে অবস্থানকালে তিনি ধর্ম প্রচারের কথা ভেবেছিলেন। তিনি তার মাকে এই জায়গা সম্পর্কে জানিয়ে একটি চিঠিও লিখেছিলেন।
রহস্য :
বিশেষ ব্যাপার হল সমুদ্র যতই উচুতে থাকুক না কেন, এই জায়গাটি কখনই ডুবে যায় না। কথিত আছে, হাজী আলী মক্কা যাওয়ার সময় এখানে ডুবে মারা যান। ৪০০ বছরের পুরনো এই দরগা বহুবার পুনর্নির্মিত হয়েছে। হাজী আলী শাহ বুখারীর আদবের কারণে আজও জোয়ার-ভাটার সময়েও সাগর কখনো তার সীমা ভঙ্গ করে না বলে মনে করা হয়।
হাজী আলী কীভাবে পৌঁছবেন:
আপনি এখানে ফ্লাইটেও যেতে পারেন। মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার এবং সান্তা ক্রুজ বিমানবন্দর থেকে এটি ২৬ কিলোমিটার। এছাড়াও, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল রেলওয়ে স্টেশনে যেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment