বিএসএফের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?
নিজস্ব সংবাদদাতা, ৩১ জানুয়ারি : বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) বিরুদ্ধে ফের বড়সড় অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদে আয়োজিত জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ নিরীহ মানুষকে গুলি করে তাদের হত্যা করছে। তাঁরা নিরীহ মানুষজনদের কাছ থেকে কার্ড নেওয়ার নামে লোকেদের কারসাজি করছে এবং তাদের এখান থেকে সরিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “মুর্শিদাবাদ একটি সীমান্ত এলাকা। বিএসএফ অনেক নৃশংসতা করছে। মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এখানে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে বিএসএফ। তিনি লোকদের বলছেন যে এখানে তাদের (বিএসএফ) একটি কার্ড নিতে হবে, এখন এটি কোন কার্ড এবং কয়টি কার্ড রাখা হবে?
তিনি বলেছিলেন যে মানুষের কাছে আধার, প্যান, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী এবং অন্যান্য কার্ড রয়েছে। আসলে, তাদের (বিএসএফ) উদ্দেশ্য হ'ল কার্ডগুলি হেরফের করে কার্ড থেকে লোকের নাম মুছে ফেলা এবং তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো।
সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ নৃশংসতা চালাচ্ছে
তিনি বলেন যে ডিএম এবং এসডিওকে অনুমতি দেন যে কার্ডের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সীমান্তে যদি কোনও অনুমতি চাওয়া হয় তবে ডিএম, বিডিও এবং এসডিও অনুমতি দেবেন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের হাতে। বিএসএফের কাজ সীমান্ত এলাকা সামলানো।
এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফকে অভিযুক্ত করেছিলেন। এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএসএফ একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিল যে বিএসএফ স্বাধীনভাবে কাজ করে। এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো সম্পর্ক নেই। বা বিএসএফ কর্তৃক কোনো কার্ড দেওয়া হয় না। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
এদিন রাহুল গান্ধী যখন বিহারের কাটিহার থেকে বাংলার মালদায় প্রবেশ করেন, তখন মালদায় সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদে যান মমতা। মুর্শিদাবাদের মঞ্চ থেকে মমতা দাবি করেছেন যে মালদা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি একটি বার্তা পেয়েছেন। এরপর রাহুলের গাড়িতে হামলার খবর পান তিনি।
মমতা বলেন, “আমি একটি বার্তা পেয়েছি যে রাহুলের গাড়ির কাঁচ কে ভেঙেছে? আমরা এই জিনিস পছন্দ করি না। আমি জানতে পারলাম বাংলায় এমনটা হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে কাটিহারে। এ প্রসঙ্গে নীতীশ কুমারের নামও নেন মমতা। তিনি বলেন, বিহারে বিজেপি ও নীতীশ এক হয়েছে। তবে এখানে যে কেউ মিটিং করতে পারে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
No comments:
Post a Comment