সন্তানের পড়াশোনায় মন বসাবে এই যোগাসন
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১৫ জানুয়ারি : আজকাল, শিশুদের মনোযোগ খুব দ্রুত বিক্ষিপ্ত হয়। এর একটি বড় কারণ হল তাদের চারপাশে থাকা গ্যাজেট যেমন মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, টিভি ইত্যাদি। এই জিনিসগুলি খুব সহজেই শিশুদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এই ডিভাইসগুলির উজ্জ্বলতা এবং রঙিন বিশ্ব তাত্ক্ষণিকভাবে শিশুদের আকর্ষণ করে। তারা ঘন্টার পর ঘন্টা এসব নিয়ে খেলতে থাকে এবং এতে তাদের মন পড়াশুনা থেকে দূরে সরে যায়।
এটা প্রত্যেক অভিভাবকের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা যে তাদের সন্তানদের পড়াশুনা করতে ভালো লাগে না বা ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ার পরও তারা পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পারে না। কিন্তু আপনি কি জানেন যে প্রতিদিনের যোগাভ্যাসের মাধ্যমেও শিশুদের এই ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়? আসুন এখানে কিছু যোগাসন জেনে নেই-
সূর্য নমস্কার:
সূর্য নমস্কার একটি অত্যন্ত উপকারী যোগাসন যা শিশুদের পড়াশোনার জন্য প্রস্তুত করতে পারে। এই আসনটি সূর্যকে নমস্কার করার ভঙ্গিতে করা হয়। এতে করে আমাদের মেরুদণ্ড নমনীয় হয় এবং শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এই আসনটি শিশুদের মানসিক ও শারীরিকভাবে সতেজ অনুভব করে। এতে তাদের একাগ্রতা বাড়ে এবং তারা আরামে পড়াশোনা করতে পারে। প্রতিদিন এটি করলে শিশুরা পড়াশোনায় আগ্রহী হবে।
মান্ডুকাসন:
মন্ডুকাসন হল একটি যোগাসন যা শিশুদের একাগ্রতা এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। এই আসনটিতে আমরা হাঁটু গেড়ে বসে মুদ্রায় হাত রাখি। এটি এক ধরনের ধ্যানের ভঙ্গি।এই ভঙ্গি শিশুদের মনকে শান্ত করে। এটি তাদের বিভ্রান্তিকর চিন্তা দূরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত মান্ডুকাসন করলে শিশুদের মনোনিবেশ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
পবনমুক্তাসন:
এটি একটি যোগাসন যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি করার জন্য, আমরা আমাদের পিঠের উপর শুয়ে থাকি এবং আমাদের পা ৯০ ডিগ্রি কোণে ছড়িয়ে দেই। এই শিথিল ভঙ্গিটি শিশুদের ঘুমের উন্নতি করে এবং তাদের সতেজ অনুভব করে।
ভুজঙ্গাসন:
ভুজঙ্গাসন হল এক ধরনের শিথিল আসন যা শিশুদের শেখা খুব সহজ। এই আসনটিতে আমরা পেটের উপর শুয়ে থাকি এবং সাপের মতো হাত পা ভাঁজ করি।এই আসনটি শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কারণ এটি মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ভুজঙ্গাসন দিয়ে, শিশুরা যা পড়েছে তা সহজেই মনে রাখতে সক্ষম হয় এবং এটি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করে।
বৃক্ষাসন:
বৃক্ষাসন হল একটি দাঁড়ানো আসন, যা করার জন্য আমরা এক পায়ে দাঁড়াই এবং অন্য পা হাঁটুতে বাঁকিয়ে ভিতরের দিকে নিয়ে আসি। হাত উপরের দিকে ভাঁজ করা হয়। এই আসনটি শিশুদের ভারসাম্য এবং মনোনিবেশ করার ক্ষমতা উন্নত করে। এক পায়ে দাঁড়িয়ে, শিশুরা নিজেদেরকে আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে। এতে তাদের একাগ্রতা বৃদ্ধি পায় এবং তারা বিভ্রান্ত না হয়ে পড়াশুনা করতে সক্ষম হয়।
No comments:
Post a Comment