শিশুকে বোতলের দুধ খাওয়াতে এই বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৭ জানুয়ারি : মায়ের দুধ শিশুর জন্ম থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই চিকিৎসকরাও পরামর্শ দেন যে শিশুকে মায়ের দুধ পান করানো উচিৎ। তবে অনেক সময় মায়ের সঠিকভাবে দুধ উৎপাদন না হওয়ার কারণে বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে শিশুকে বোতলে করে খাওয়াতে হয়। আপনি যদি আপনার শিশুকে বোতলজাত করে খাওয়ান তবে এই সময়ের মধ্যে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় এটি শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
আসলে শিশুকে বোতল খাওয়ানো এড়িয়ে চলা উচিৎ, কিন্তু যদি কোনো কারণে শিশুকে বোতলের দুধ খাওয়াতে হয়, তাহলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে , তা না হলে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে অবস্থার অবনতিও হতে পারে-
স্বাস্থ্যবিধির যত্ন :
আপনি যদি আপনার শিশুকে বোতলের দুধ খাওয়ান, তবে স্বাস্থ্যবিধির বিশেষ যত্ন নিন, কারণ ছোট শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং তারা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। এ জন্য শিশুকে দুধ দেওয়ার আগে বোতলটি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এছাড়া জলে ফুটিয়ে বোতল পরিষ্কার করুন। শিশুর বোতল পরিষ্কার করার ব্রাশগুলোকে পরিষ্কার জায়গায় আলাদা করে রাখুন। দুধ তৈরির আগে হাত পরিষ্কার করুন। অনেক মাইক্রোস্কোপিক জীবাণু আছে যা চোখে দেখা যায় না। অতএব, আপনি একটি জীবাণুনাশক কিনতে পারেন, যাতে বোতলে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার করা যায়।
একই বোতল দীর্ঘদিন ব্যবহার করা:
দুধ খাওয়ানোর বোতলগুলি বেশিরভাগই প্লাস্টিকের, তাই একটি বিরতির পরে এটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন, কারণ বেশিরভাগ প্লাস্টিকের বোতলগুলিতে বিপিএ আবরণ থাকে। অনেক সময় মানুষ একই বোতল দীর্ঘদিন ব্যবহার করে থাকে যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এর সাথে সাথে বোতলে লাগানো স্তনের বোতলও মাঝে মাঝে পরিবর্তন করতে থাকুন।
শিশুকে আপনার কোলে ধরে এবং তার মাথার নিচে এক হাত রেখে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। অনেক সময় মানুষ শোয়ার পর বাচ্চাকে দুধের বোতল দেয়, এতে তার গলায় অতিরিক্ত দুধ ঢুকতে পারে। অনেক সময় নাকে দুধ যাওয়ার ভয় থাকে, যার কারণে পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতে পারে, তাই শিশুকে বোতল খাওয়ানোর সময় সবসময় তার কাছাকাছি থাকুন।
No comments:
Post a Comment