কেন খাবেন ভেজানো কিশমিশ এবং ছোলা?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৬ জানুয়ারি : কিশমিশ হল পুষ্টির ভান্ডার। কিশমিশ শুকনো ফলের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত তবে এটি বেশিরভাগই ক্ষীর বা পায়েসে ব্যবহৃত হয়। এটি ভারতীয় মিষ্টিতে টপিং হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। যেমন বরফি সাধারণত কিশমিশ দিয়ে সাজানো হয়। কিশমিশ শুকনো আঙ্গুর থেকে তৈরি করা হয়। যেটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। জেনে নেব ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ ও ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-
খালি পেটে কিশমিশ ও ছোলা খেলে অন্ত্র সুস্থ থাকে। বিশেষ করে এটি BP রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
কালো ছোলা ও কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা:
কালো ছোলায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং পটাশিয়াম। যা পেটের জন্য খুবই উপকারী।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে:
রক্তচাপের রোগী যদি খালি পেটে কিশমিশ ও ছোলা খান, তাহলে তার অনেক উপকার হয়। তাই বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন ব্যক্তিদের খালি পেটে ছোলা এবং কিসমিস খাওয়া উচিত।
কিশমিশ এবং ছোলা:
ছোলা এবং কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এটি পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ভেজানো কিশমিশ কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে এবং হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে।
ওজন কমানো:
আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছেন তাহলে খালি পেটে কিশমিশ খেতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি আপনার মিষ্টি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে চান, আপনি ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেতে পারেন, এটি আপনার মিষ্টি লোভ নিয়ন্ত্রণ করবে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়ক।
কিশমিশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভালো:
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এমন পরিস্থিতিতে এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এছাড়াও, যদি আপনার শরীরে কোনও সংক্রমণ থাকে তবে কিশমিশ তা নিরাময়েও সহায়তা করে।
হাড় শক্তিশালী করার কাজ:
কিশমিশ খেলে হাড় মজবুত হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ভেজানো কিশমিশ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এবং এটি আপনার হাড় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
No comments:
Post a Comment