দেশের অনেক শহরেই ক্রমাগত বাড়ছে AQI মাত্রা
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৪ জানুয়ারি : আমাদের দেশে বায়ু দূষণের মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। যা অনেক সময় আমরা শুনে উপেক্ষা করি। অনেক সময় আমরা সেদিকে খেয়াল করি না, কিন্তু আপনি কি জানেন দূষিত বাতাসের কারণে মানুষের শরীরে কী কী রোগ দেখা দিতে পারে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, দূষিত বায়ু শুধু আমাদের ফুসফুসকেই প্রভাবিত করে না বরং হৃদপিণ্ড, কিডনি, লিভার এবং পরিপাকতন্ত্রের ওপরও গভীর প্রভাব ফেলে। শরীরের রক্তকণিকা, ধমনী ও শিরাও এই দূষিত বাতাস থেকে বাদ পড়ে না।
এর কারণ হল আমরা যখন দূষিত বায়ু নিঃশ্বাস নেই, তখন তা আমাদের শ্বাসের মাধ্যমে আমাদের রক্তে এবং তারপর তার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বাকি অংশে পৌঁছায়। এ কারণেই বিষাক্ত বাতাসও অনেকের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক AQI কি? আসলে AQI দূষণ পরিমাপ করার জন্য একটি থার্মোমিটার। যার মাধ্যমে বাতাসে উপস্থিত কার্বন ডাই অক্সাইড, ওজোন, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, কণা ও দূষণকারী পদার্থের পরিমাণ পরীক্ষা করা হয়। বাতাসে দূষণকারীর পরিমাণ যত বেশি হবে, AQI স্তর তত বেশি হবে। AQI স্তর যত বেশি হবে, বাতাস তত বেশি বিপজ্জনক হবে।
বিষাক্ত বায়ু শরীরের কতটা ক্ষতি করে:
২০০-এর বেশি AQI দরিদ্র হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এর উপরে যে কোনও কিছুকে খুব দরিদ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশের অনেক রাজ্যে, AQI স্তর ৪০০-৫০০-এর উপরে পৌঁছেছে। AQI-এর এই স্তরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময়, মানুষকে শ্বাস নিতে অসুবিধা এবং কাশির মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া AQI-এর এই মাত্রা অনেক গুরুতর রোগের জন্ম দেয়। এছাড়া এই বিষাক্ত বাতাস আপনার শরীরের অনেক অংশের ক্ষতি করতে পারে।
No comments:
Post a Comment