ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমের সমস্যা কী?
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১৭ জানুয়ারি : যখনই আমরা দুঃখজনক কিছু সম্পর্কে জানতে পারি, অর্থাৎ যখনই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা শোনার পর আমাদের হৃদয় সম্পূর্ণ আবেগগতভাবে ভেঙে পড়ে। এই মানসিক ভাঙ্গন শুধুমাত্র হৃদয়কে প্রভাবিত করে। এর ফলে হার্টের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম বা টাকোটসুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথি। এই সিন্ড্রোম যে কোন বয়সে ঘটতে পারে। আসুন জেনে নেই এই রোগটি কী এবং কী কী ক্ষতি হতে পারে-
ভাঙ্গা হার্ট সিন্ড্রোম:
কার্ডিওলজিস্টদের মতে, ভাঙ্গা হার্ট সিন্ড্রোম প্রথম ১৯৯০ সালে জাপানে সনাক্ত করা হয়েছিল। এই অবস্থায়, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে, যা প্রচণ্ড মানসিক আঘাতের কারণ হয়, হঠাৎ শরীর থেকে হরমোন নিঃসৃত হয়, যার কারণে হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং যে কোনও ধরণের মানসিক বা শারীরিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
হার্ট ব্লকেজ থেকে ভাঙ্গা হার্ট সিন্ড্রোম কতটা আলাদা:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে হার্টের শিরা বন্ধ না হলেও হার্টের কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়। হৃৎপিণ্ডের একটি অংশ শিথিল হয়ে যায়, যার কারণে স্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের পরিবর্তে ইসিজিতে পার্থক্য দেখা যায়। হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য ওষুধও দেওয়া হয় তবে সবচেয়ে ভালো বিষয় হল সমস্যাটি ১ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।
ভাঙ্গা হার্ট সিন্ড্রোমের কারণ :
গুরুতর চাপ
প্রিয়জনের মৃত্যু
আর্থিক ক্ষতি বা জালিয়াতি
খুব রেগে যান
একটি গুরুতর দুর্ঘটনা
কেন যুবকদের মধ্যে ব্রোক হার্ট সিন্ড্রোমের ঘটনা বাড়ছে?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আজকাল ব্রোক হার্ট সিনড্রোমের সমস্যা তরুণদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে তরুণরা খুবই চাপের জীবনযাপন করছে। তারা মানসিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রাগ ও উদ্বেগ প্রবল হয়, যার কারণে তারা আবেগগতভাবে ভেঙে পড়ে। এটি তাদের হৃদয়কে প্রভাবিত করে।
ভাঙ্গা হার্ট সিন্ড্রোমে কি সমস্যা হতে পারে:
হার্ট দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
হার্ট ঠিকমত কাজ করবে না।
হৃৎপিণ্ডে জমাট বাঁধা
হার্ট ফেইলিউর।
উপায় :
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, ব্রোক হার্ট সিনড্রোম এড়াতে একটাই উপায় আছে, আর তা হল চাপমুক্ত জীবনযাপন করা। তাই এটা এড়াতে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। হার্ট সুস্থ রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা উচিৎ। এর পাশাপাশি প্রতিদিন ব্যায়ামও করতে হবে।
No comments:
Post a Comment