হাড় থেকে চুল পর্যন্ত, তিল এবং গুড়ের গুন
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২১ জানুয়ারি : আমরা যা খাই তা আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। তাই সবসময় ঋতু অনুযায়ী খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আমরা যদি গ্রীষ্মে খুব গরম খেজুর এবং শীতকালে ঠান্ডা খেজুর যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করি তবে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। তাই ঋতু অনুযায়ী আমাদের খাদ্য নির্বাচন করা উচিত। আয়ুর্বেদও সুস্থ থাকার জন্য ঋতু, শরীরের প্রকৃতি ও বয়স অনুযায়ী খাবার বেছে নেওয়ার ওপর জোর দেয়।
এমতাবস্থায় এই শীতের মৌসুমে আমাদের খাদ্যতালিকায় এমন সব জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যেগুলো গরম প্রকৃতির এবং সেগুলো খেলে শরীর ভিতর থেকে তাপ পায়। এ মৌসুমে বাজারে চিনাবাদাম, গজক ও লাড্ডু প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। এসব তৈরিতে তিল ও গুড় ব্যবহার করা হয়। এই মৌসুমে তিল ও গুড় খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
শীতে তিল ও গুড় খাওয়ার উপকারিতা:
উষ্ণতা :
এই ঋতুতে এটি খেলে শরীরের ভেতর থেকে উষ্ণতা পাওয়া যায়। কারণ তিল ও গুড় উভয়েরই গরম প্রকৃতি রয়েছে। তাই ঠান্ডার সময় মানুষ তিলের লাড্ডু খায়। এগুলি বাজারে সহজেই পাওয়া যায় এবং বাড়িতেও তৈরি করা যায়।
হাড়ের জন্য উপকারী:
তিলে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় বজায় রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করা:
তিলের বীজে উপস্থিত আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এই শীতের মৌসুমে তিলের লাড্ডু খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।
চুলের জন্য:
তিল তেল চুলের বৃদ্ধিতে খুব সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে। এছাড়াও, চুলের প্রাকৃতিক রঙ বজায় রাখতে এটি উপকারী। তাই সরিষা বা নারকেল তেলে কালো তিলের সাথে অন্যান্য অনেক কিছু যোগ করে তেল তৈরি করা হয়। এগুলি চুলে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
তবে যদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে প্রতিদিন এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment