পাখির কলকাকলি দেখতে নববর্ষ উদযাপন পর্যটকদের
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০১ জানুয়ারি : রাজস্থানের ভরতপুর জেলায় অবস্থিত বিশ্ব বিখ্যাত কেওলাদেও জাতীয় উদ্যানে পাখির কিচিরমিচির পর্যটকদের অনেক বেশি আকর্ষণ করছে। পার্কের লেকের পাশের গাছে বাসা তৈরিতে ব্যস্ত দেশি-বিদেশি পাখিরা। কেওলাদেও জাতীয় উদ্যানে প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক পাখির কলকাকলি দেখতে আসছেন। কেওলাদেও ন্যাশনাল পার্কের শীত মৌসুম এখন বেগ পেতে শুরু করেছে। এখন প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক পার্কে বেড়াতে আসছেন। দেশি-বিদেশি পর্যটকের আধিক্যের কারণে মানুষের কর্মসংস্থানও শুরু হয়েছে।
আশেপাশের রাজ্যগুলি থেকেও বিপুল সংখ্যক পর্যটক নববর্ষ উদযাপন করতে ভরতপুরে আসেন। দিনের বেলা তাঁরা কেওলাদেও ন্যাশনাল পার্কে পাখির কাকলি দেখেন। দেশি-বিদেশি প্রায় ৩০০ প্রজাতির লক্ষাধিক পাখি কেওলাদেও ন্যাশনাল পার্কে ক্যাম্প করছে। কেওলাদেও জাতীয় উদ্যানে আজকাল, পর্যটকরা চায়না কুট, সাবের, ইন্ডিয়ান স্টর্ক, ওপেন বিল স্টর্ক, স্পুন বিল, পার্পল হেরন সহ অনেক দেশি-বিদেশি প্রজাতির পাখির খেলা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ। পার্কের লেকে পর্যাপ্ত জল থাকায় পাখিরাও জল থেকে খাবার হিসেবে মাছ ও গাছপালা পাচ্ছে।
ভরতপুর হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত উদয় সিং জানিয়েছেন, এবার হোটেল ব্যবসা ভালো। কারণ ভরতপুর আগ্রা-দিল্লি থেকে বেশি দূরে নয় এবং জয়পুর থেকেও বেশি দূরে নয়। দিল্লি থেকে বহু মানুষ ভরতপুরে আসেন নববর্ষ উদযাপন করতে। নগরীর সব হোটেল, লজ ও গেস্ট হাউসে অগ্রিম বুকিং করা হয়েছে এবং প্রায় সবগুলোই পূর্ণ। কিছু কক্ষ খালি থাকলে পর্যটকরা এসে সে সময় বুকিং দেন।
বহু বছর ধরেই ভরতপুরে দেখা যাচ্ছে দিল্লি থেকে মানুষ ভরতপুরে আসেন নববর্ষ উদযাপন করতে। হোটেল ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকেও তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় সব হোটেলেই রুম নেই এমন অবস্থা।
No comments:
Post a Comment