সফলা একাদশীতে এভাবে করুন ভগবান বিষ্ণুর পূজা
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৭ জানুয়ারি : পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী সফলা একাদশী নামে পরিচিত। এই একাদশীতে উপবাস করলে সর্বক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করে, তাই একে সফলা একাদশী বলা হয়। এই একাদশীর উপবাস কাঙ্খিত ফল দেয় বলে মনে করা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং এই উপবাসের মহিমা বর্ণনা করেছেন। কথিত আছে, সাফলা একাদশীর উপবাস পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে পালন করলে ব্যক্তির সাফল্য নিশ্চিত।
সফলা একাদশীর তারিখ ও সময়:
সফলা একাদশীর তারিখ ৬ জানুয়ারী, দুপুর ১২:৪২ শুরু হবে তবে সফলা একাদশীর উপবাস ৭ জানুয়ারী, রবিবার পালিত হবে। সফালা একাদশী উপবাসের পারন হবে ৮ জানুয়ারি সকাল ৭টা ১৫ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। একাদশী তিথির সূচনার পর রবিবার সকালে সূর্যোদয়ের সময় সূর্যদেবকে পূজা করা হয় এবং দিনের বেলায় ভগবান বিষ্ণুর পূজা করার প্রথা রয়েছে। একাদশী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর সাথে সূর্য দেবের পূজা করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।
এইভাবে সূর্য দেবতার সাথে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করতে হয়।
একাদশী তিথিতে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করা ইত্যাদি এবং উপবাসের অঙ্গীকার করা।
একটি তামার পাত্রে জল নিয়ে সূর্যদেবকে নিবেদন করুন। সূর্যদেবকে জল দেওয়ার সময় অবশ্যই সূর্য মন্ত্র জপ করুন।
তারপর বাড়ির মন্দিরে যান এবং ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর জলাভিষেক করুন।
ভগবান বিষ্ণুকে হলুদ ফল ও ফুল নিবেদন করুন। এতে ভগবান বিষ্ণু প্রসন্ন হন।
রবিবারে তুলসী পাতা ছিঁড়ে ফেলা নিষেধ, তাই তুলসী পাতা ছিঁড়ে দশমী তিথিতে রাখুন।
ভগবান বিষ্ণুর আরাধনায় তুলসী ডাল নিবেদন করতে হবে। তারপর ধূপ, প্রদীপ ইত্যাদি জ্বালিয়ে মিষ্টি নিবেদন করুন।
ভগবান বিষ্ণুর সামনে বসে একাদশীর উপবাস কাহিনী পাঠ করুন এবং ভগবান বিষ্ণুর আরতি করুন।
দিনের বেলা ফল খান এবং ভগবান বিষ্ণুর মন্ত্র জপ করুন।
সন্ধ্যায়, সূর্যাস্তের পরে, শ্রী হরি এবং দেবী লক্ষ্মীর পূজা করুন এবং তুলসীর কাছে একটি ঘি প্রদীপ জ্বালান।
দ্বাদশীর দিন ব্রাহ্মণদের খাবার খাওয়ান এবং দান করুন। এর পরেই একটি শুভ সময়ে উপোস ভঙ্গ করুন।
গুরুত্ব:
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই উপবাস পালন করলে ব্যক্তি জীবনে শুভ ফল লাভ করে এবং মোক্ষও লাভ করে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই উপোস অত্যন্ত শুভ ও পুণ্যময় বলে বিবেচিত হয়। এই দিনে ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণু ও সূর্য দেবতার পূজা করা হয়। এছাড়াও এই উপোস পালনের মাধ্যমে জীবনের সকল দুঃখ-কষ্টের অবসান হয়।
No comments:
Post a Comment