পায়ের ফোলা কমানোর সাধারণ উপায়
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৫ জানুয়ারি : অনেকেই আছেন যাদের শীতে হাত-পা ফুলে যায়। অথবা আঙ্গুল এবং পায়ের আঙ্গুল লাল হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভালো এবং ঘরোয়া প্রতিকার হল রসুনের ব্যবহার। রসুনের প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে। যা ব্যথা এবং ফোলা থেকে মুক্তি দেয়। জানুয়ারিতে উত্তর ভারতে খুব ঠান্ডা পড়ে। যার কারণে অনেক সময় হাত-পা ফোলা শুরু হয়।
ঠান্ডা বাতাস সারা শরীরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। অনেক সময় ঠাণ্ডার কারণে পায়ের আঙ্গুল ফুলে যায়। শুধু তাই নয়, এর ফলে আঙুল লাল ও নীল হতে শুরু করে। ফোলা আঙ্গুলে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এই ব্যথা এতটাই বিপজ্জনক যে এটি তীব্র চুলকানি সৃষ্টি করে। এই ফোলা আঙ্গুলগুলি সারাতে, আজ আমরা কিছু ঘরোয়া প্রতিকার জানবো-
ঠান্ডায় আঙ্গুল ফুলে যাওয়ার কারণ:
ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে শরীরের শিরাগুলো কুঁচকে যেতে থাকে। যা রক্ত সঞ্চালনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। হাতে ও পায়ে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। এমন অবস্থায় আঙুল লাল হতে শুরু করে। এবং ফোলা শুরু হয়। এই ফোলা একটা সময় পর এতটাই বেড়ে যায় যে আঙুলগুলো নীল ও লাল হতে শুরু করে।
ঠান্ডার কারণে আঙ্গুল ফুলে গেলে প্রথমেই করণীয়:
ফোলা আঙ্গুলগুলো লবণ দিয়ে হালকা গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এর জন্য অর্ধেক বালতিতে ২ চামচ লবণ দিয়ে মেশাতে থাকুন। এতে পা ও হাত ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে বিপজ্জনক সংক্রমণ দূর হবে এবং ফোলাভাবও কমে যাবে। হাল্কা গরম জলে বরফ দিলে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং পায়ের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
রসুন তেল:
পা ও হাতে অতিরিক্ত ফোলাভাব থাকলে রসুনের তেল ব্যবহার করুন।ফোলা জায়গায় হালকা গরম রসুনের তেল লাগান। এতে ব্যথা কমে যায়। এছাড়াও, যেখানে ফোলা আছে সেখানে রসুনের ৪-৫ কোয়া রেখে গরম করে ম্যাসাজ করুন। এটি আঙ্গুলের ফোলা থেকে আরাম দেবে। রসুনে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় যা প্রদাহের প্রভাব কমায়।
No comments:
Post a Comment