অরুণ যোগীরাজের জীবন কতটা বদলে গেছে?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ জানুয়ারি : বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় ইস্যু রাম মন্দির। রাম মন্দির ও এর পবিত্রতা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। এদিকে, কর্ণাটকের প্রবীণ ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের হাতে তৈরি মূর্তি রাম মন্দিরের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভাস্কর অরুণকে নিয়ে সর্বত্র আলোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে তার স্ত্রী বিজয়া জানান, এই খবর প্রকাশের পর তার স্বামীর জীবনে কী পরিবর্তন এসেছে।
ফোনালাপের সময় অরুণ যোগীরাজের স্ত্রী বিজয়া জানান, তার স্বামীকে এই সময়ে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কারো সাথে কথা বলতেও নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও, তাঁকে রামের মূর্তি সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় অরুণ কারো সাথে কথা বলছে না।
তিনি জানান রাম মন্দিরে অরুণের তৈরি মূর্তি স্থাপনের খবর প্রকাশ্যে আসার পর তার জীবন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। তিনি আমার সাথে, বাচ্চাদের এবং পুরো পরিবারের সাথে দিনে মাত্র পাঁচ মিনিট কথা বলেন। এরপর দিনভর তার ফোন বন্ধ থাকে। আসলে, তিনি ক্রমাগত কল পাচ্ছেন, যার কারণে তার কাজও প্রভাবিত হচ্ছে।
বিজেতার কথায়, তিনি নিজেই মিডিয়া থেকে রাম মন্দিরে অরুণের মূর্তি স্থাপনের কথা জানতে পেরেছিলেন। এর পর পুরো পরিবার খুব খুশি। আমরা ক্রমাগত কল গ্রহণ করছি। বাড়িতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের সমাগম থাকলেও তার কোনো সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে অরুণও এ বিষয়ে কিছু জানাননি।
অরুণ এই প্রথম মূর্তি খোদাইয়ের কাজ করছেন না। তার পরিবার পাঁচ প্রজন্ম ধরে প্রতিমা খোদাইয়ের কাজ করে আসছে। অরুণের বাবা যোগীরাজও একজন দক্ষ ভাস্কর। তাঁর পিতামহ বাসভন্ন শিল্পী মহীশূরের রাজা দ্বারা সুরক্ষিত ছিলেন। লেখাপড়ার কথা বললে, অরুণ এমবিএ করেছে। এর আগে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন, কিন্তু ২০০৮ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে তার পৈতৃক কাজ অর্থাৎ মূর্তি খোদাই করা শুরু করেন।
ইন্ডিয়া গেটে সুভাষ চন্দ্র বসুর ৩০ ফুট উঁচু মূর্তি তৈরি করেছেন অরুণ যোগীরাজ। আসলে, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর এই মূর্তিটি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই উন্মোচন করেছিলেন। এর আগে, এই মূর্তির জায়গায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী ২৩ জানুয়ারি ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর হলোগ্রাম মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment