বিশ্বের বৃহত্তম লাইব্রেরি রয়েছে এখানে
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ ডিসেম্বর : বই মানুষের সেরা বন্ধু। তবে ডিজিটাল বিশ্বে মানুষ এখন কম্পিউটার ও মোবাইলের মাধ্যমে বইকে কম গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ই-বুককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এতদসত্ত্বেও সারা বিশ্বে বইপ্রেমীর অভাব নেই। এরাই সেই বইপ্রেমীরা, যারা লাইব্রেরিতে গিয়ে বই না পড়লে প্রকৃত শান্তি পাওয়া যায় না। এই ধরনের বইপ্রেমীদের জন্য, আমরা বিশ্বের সেই সব বড় লাইব্রেরি সম্পর্কে জানবো যেখানে ১০ কোটিরও বেশি বই রয়েছে-
ব্রিটিশ লাইব্রেরি, লন্ডন:
বিশ্বের বৃহত্তম গ্রন্থাগার হল লন্ডনের বোস্টনে অবস্থিত ব্রিটিশ লাইব্রেরি। এতে প্রায় ২০ কোটি বই ও অন্যান্য নথি রয়েছে। এই কারণে, এটি যুক্তরাজ্যের (ইউকে) জাতীয় গ্রন্থাগার এবং বিশ্বের বৃহত্তম গ্রন্থাগার। আগে এই লাইব্রেরিটি ব্রিটিশ মিউজিয়ামের একটি অংশ ছিল। এটি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গ্রন্থাগারে বই, পাণ্ডুলিপি, সংবাদপত্র, মানচিত্র, ডাকটিকিট, গানের রেকর্ড ইত্যাদি পাওয়া যায়। ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে ৩০০ টিরও বেশি ভাষায় উপকরণ রয়েছে।
লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস:
এর পরে আসে আমেরিকার ওয়াশিংটনে অবস্থিত লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস। এটি ১৮০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটিকে একটি গবেষণা গ্রন্থাগারও বলা হয়, যা মার্কিন কংগ্রেসের গ্রন্থাগার হিসেবে কাজ করে। এটি দেশের প্রাচীনতম ফেডারেল সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট। সারা বিশ্ব থেকে বই এখানে ৪৭০ টিরও বেশি ভাষায় পাওয়া যায়। যদি আমরা এর সংগ্রহের দিকে তাকাই, প্রায় ১৮ কোটি বই, পাণ্ডুলিপি, মানচিত্র, ফটোগ্রাফ, ফিল্ম এবং মিউজিক রেকর্ড রয়েছে, যা ১৩৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ শেলফে সংরক্ষিত আছে। এই লাইব্রেরিতে প্রায় তিন হাজার মানুষ কাজ করেন বলে জানা গেছে।
কানাডার ন্যাশনাল লাইব্রেরি:
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রন্থাগার হল কানাডার ন্যাশনাল লাইব্রেরি, যা অটোয়াতে অবস্থিত। এখানে প্রায় ১৯ কোটি বই রয়েছে। এটি ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল লিখিত নথি এবং ফটোগ্রাফ আকারে কানাডার ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা। এই দেশটি আমেরিকা সংলগ্ন, তাই আমেরিকার প্রাচীনতম বইও এখানে পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment