সূর্য পূজার সঠিক সময় এটি
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ ডিসেম্বর : যদিও রোজ সূর্যের পূজা করা উচিৎ কিন্তু রবিবার একটি বিশেষ দিন। এ ছাড়া সূর্যের উপাসনার জন্য নির্দিষ্ট সময় আছে এবং তাতে জল নিবেদন করলেই উপকার পাওয়া যায়। সূর্যপূজার সঠিক সময় ও গুরুত্ব জেনে নিন-
পৌরাণিক কাল থেকেই সূর্য দেবতার মর্যাদা পেয়েছে। পঞ্চদেবদের মধ্যে সূর্যই একমাত্র ঈশ্বর যিনি সরাসরি দৃশ্যমান। কথিত আছে যে যারা প্রতিদিন সূর্যদেবকে জল অর্পণ করেন তারা খ্যাতি, পুণ্য, সুখ, সৌভাগ্য ও প্রতিপত্তি লাভ করেন।
সূর্যকে জল নিবেদনের নিয়মিত সময় থাকে এবং তবেই এই পূজা ফলপ্রসূ হয়। আসুন জেনে নেই সূর্য পূজার সঠিক সময়-
সূর্যকে জল দেওয়ার সঠিক সময়:
ঋগ্বেদ অনুসারে, সূর্যোদয়ের ১ ঘন্টার মধ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করা উচিত, কারণ এই সময়ে সূর্য দেবতা শীতল প্রকৃতিতে থাকেন। এ সময় সূর্যের রশ্মি সাধককে রোগ থেকে মুক্তি দেয় এবং এর সাথে সে কাজে সাফল্য, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং রাজার আশীর্বাদ লাভ করে। সূর্যের আলো যখন প্রবল হয় বা দংশন শুরু করে তখন জল দিয়ে লাভ হয় না, পূজাও ফল দেয় না।
ধর্মীয় তাৎপর্য :
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সূর্যকে অন্য সমস্ত গ্রহের রাজা বলে মনে করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে দেখা যায় যে শুধু মানুষই নয়, দেবতারাও সূর্যের উপাসনা করেই তাদের দৈনন্দিন রুটিন শুরু করতেন। লঙ্কায় যাওয়ার আগে ভগবান শ্রী রামও জল নিবেদন করে সূর্যকে পূজা করেছিলেন, ভবিষ্য পুরাণে শ্রী কৃষ্ণ তার পুত্রকে সূর্য পূজার গুরুত্ব বলেছেন। শ্রী কৃষ্ণের পুত্র সাম্বও শুধুমাত্র সূর্যের উপাসনা করে কুষ্ঠরোগ নিরাময় করতে সক্ষম হন। অনেক ঋষি সূর্য উপাসনার মাধ্যমে দিব্যজ্ঞান লাভ করেছেন।
জ্যোতিষশাস্ত্রে সূর্য পূজার গুরুত্ব :
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সূর্যকে নয়টি গ্রহের মধ্যে প্রথম গ্রহ এবং পিতার অনুভূতি ও কর্মের অধিপতি বলে মনে করা হয়। পিতা ও পুত্রের সম্পর্কের বিশেষ সুবিধার জন্য পুত্রের সূর্য সাধনা করা উচিত। সূর্য দেবতার আশীর্বাদে কুণ্ডলীতে নেতিবাচক প্রভাব থাকা গ্রহের প্রভাব কমে যায়। সূর্যকে জল অর্পণ করলে অশুভ সমস্যা দূর হয়। নেতৃত্বের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রাজকীয় সুখ লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
সূর্য পূজার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব:
শীতকালে সূর্য দেবতা এগারো হাজার রশ্মি দিয়ে ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি দেন। এমন পরিস্থিতিতে এই সময়ে সূর্য দেবতার পূজা করলে ধর্মীয় উপকারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য উপকারও পাওয়া যায়।
শীতকালে ঠান্ডার কারণে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়, যা আমরা সূর্যের রশ্মি থেকে পাই। এমন অবস্থায় সূর্যপূজার সময় এর রশ্মি শরীরে পড়লে চর্মরোগের ঝুঁকিও কমে এবং ভিটামিন ডি-এর অভাবও পূরণ হয়। হজম শক্তিও বৃদ্ধি পায়।
শীতকালে সূর্যকে নমস্কার করাকে সর্বাঙ্গীণ ব্যায়াম বলা হয়। এটি করলে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক শান্তিও পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment