লেপাক্ষী মন্দিরের ইতিহাস
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০১ জানুয়ারি :এমন অনেক মন্দির রয়েছে। তেমনই একটি মন্দির হল লেপাক্ষী মন্দির। এখানে লুকিয়ে আছে অনেক অনন্য রহস্য। এমনকি বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত এসব রহস্যের সমাধান করতে পারেনি। এমনই একটি মন্দির অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলায়। এই মন্দিরের নাম লেপাক্ষী মন্দির। সারা বিশ্বের পর্যটকরা এই মন্দির দেখতে আসেন।
লেপাক্ষী মন্দিরের সবচেয়ে রহস্যময় বিষয় হল এখানকার স্তম্ভগুলো বাতাসে দুলছে। এমনকি বিজ্ঞানীরাও এই রহস্যের রহস্য বুঝতে পারেননি। চলুন এই মন্দিরের কথা জেনে নেই-
রামায়ণে উল্লেখ আছে:
প্রাচীন বিশ্বাস অনুসারে, রামায়ণে লেপাক্ষী মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে। মনে করা হয়, এই সেই জায়গা যেখানে জটায়ু আহত হয়ে পড়েছিলেন। মা সীতাকে রাবণ অপহরণ করলে, জটায়ু তাকে বাঁচাতে তার পিছু নেন। এ সময় রাবণ জটায়ুকে ডানা কেটে আহত করেছিলেন।
ঝুলন্ত স্তম্ভ:
লেপাক্ষী মন্দির ঝুলন্ত স্তম্ভ মন্দির নামেও পরিচিত। এই মন্দিরে ৭০টি স্তম্ভ রয়েছে। এর মধ্যে এমন একটি স্তম্ভ রয়েছে যা মাটির সাথে সংযুক্ত নয়, অর্থাৎ এই স্তম্ভগুলো বাতাসে ঝুলে আছে। এখানে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে স্তম্ভের নিচে কাপড় রেখে তা দেখতে হবে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে স্তম্ভটি মাটি থেকে আধা ইঞ্চি উপরে উত্থিত।
অনন্য শিবলিঙ্গ:
এছাড়াও আপনি লেপাক্ষী মন্দিরে একটি অনন্য শিবলিঙ্গ দেখতে পাবেন। এই শিবলিঙ্গটি মূল মন্দিরের পিছনের অংশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই শিবলিঙ্গের বিশেষত্ব হল এটি একটি বিশালাকার সাপের নিচে নির্মিত।
কীভাবে যাবেন লেপাক্ষী মন্দিরে:
আপনি যদি লেপাক্ষী মন্দিরে যান তবে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর সবচেয়ে কাছের। এখান থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে লেপাক্ষী মন্দির। পাকশী মন্দিরের নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল হিন্দুপুর, যা মন্দির থেকে প্রায় ১৪ কিমি দূরে।
No comments:
Post a Comment