হাঁপানি রোগীদের কী ঘন কুয়াশায় সকালে হাঁটা উচিৎ?
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ৩১ ডিসেম্বর : সকালে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও মর্নিং ওয়াকের পরামর্শ দেন। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সবার জন্য মর্নিং ওয়াক করা উচিৎ। এটি কেবল পেশীকে শক্তিশালী করে না রোগের ঝুঁকিও কমায়। যেহেতু শীতের মৌসুম তাই কুয়াশাও পড়ছে প্রবল। এমতাবস্থায় যাদের হাঁপানি আছে তাদের কি মর্নিং ওয়াক করা উচিৎ?
অ্যাপোলো হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন এবং সিনিয়র কনসালটেন্ট রেসপিরেটরি ডাঃ নিখিল মোদি বলেছেন যে হাঁপানি রোগীদের জন্য সকালের হাঁটা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই সময়ে তাদের নিজেদের আরও যত্ন নিতে হবে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক হাঁপানি রোগীরা মর্নিং ওয়াক করতে পারেন কিনা-
হাঁপানি রোগীরা হাঁটতে পারেন?
চরক ফার্মার মেডিকেল বিভাগের প্রধান ডাঃ মিলিন্দ পাতিল বলেছেন যে হাঁপানি রোগীদের ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় সকালে হাঁটা এড়িয়ে চলা উচিৎ। অতিরিক্ত কুয়াশায় উপস্থিত দূষক অ্যাজমার উপসর্গকে আরও খারাপ করতে পারে। এই কারণে কাশি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ :
ডাঃ নিখিল মোদী বলেছেন যে কিছু হাঁপানি রোগী কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা সহ্য করতে পারে। কিছু হাঁপানি রোগী মাস্ক না পরে হাঁটতে যান, যা অবস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে হাঁপানি রোগীদের বাড়ির ভিতরে হাঁটা পছন্দ করা উচিত। এ ছাড়া বাইরে যাওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখুন এবং সঙ্গে ইনহেলার রাখুন।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন:
হাঁপানি রোগীদের কুয়াশা কেটে গেলেই হাঁটতে যাওয়া উচিৎ।
শুধুমাত্র মুখ ঢেকে বাইরে যান, যাতে দূষিত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করতে না পারে।
হাঁপানি রোগীদের কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে ধীরে ধীরে হাঁটতে হবে।
দ্রুত হাঁটার ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
No comments:
Post a Comment