শীতে কীভাবে স্বাস্থ্য বজায় রাখবেন?
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ৩১ ডিসেম্বর : ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে। ঘন কুয়াশা এবং নিম্ন তাপমাত্রা আবহাওয়ায় শীতলতা বজায় রাখে। যা স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই মৌসুমে হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হজমের সমস্যা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। এই কারণে এই ধরনের ব্যক্তিদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। শীতকালে ঠান্ডা, ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগও দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নেওয়া যাক এই দু মাস আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলে-
ঠান্ডা ফ্লু:
যখনই তাপমাত্রা কমে যায়, তখনই ঠান্ডা ও ফ্লুর সমস্যা বাড়তে থাকে। যেহেতু এই মৌসুমে সূর্যের আলো কম থাকে। যার কারণে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। এতে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এগুলো এড়াতে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে।
রক্তচাপের সমস্যা বাড়বে:
শীতকালে রক্তচাপের সমস্যা দ্রুত বাড়তে দেখা যায়। রক্তচাপ শীতকালে বেশি এবং গ্রীষ্মে কম থাকে। আসলে, নিম্ন তাপমাত্রার কারণে রক্তনালীগুলি সাময়িকভাবে সরু হয়ে যায়। এতে রক্তচাপ বেড়ে যায়। সংকীর্ণ শিরা এবং ধমনী দিয়ে রক্ত সঞ্চালনের জন্য আরও চাপের প্রয়োজন হয়। এটি হার্টের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেশি দেখা যায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা :
শীতে শুধু রক্তচাপই নয়, ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যাও অনেকাংশে বেড়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সাথে অনেক ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করা বেড়ে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরে চাপ বাড়ায়, যার প্রতিক্রিয়ায় শরীর শক্তি বাড়াতে কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করে। এই হরমোনগুলো ইনসুলিন উৎপাদন কমিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। এ অবস্থায় কিডনি, লিভার ও হার্ট নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, শরীরকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে হবে এবং সময়ে সময়ে ওষুধ খেতে হবে।
হাঁপানি এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা:
যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন তাদের জন্য ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসটি কঠিন হতে পারে। ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস এবং আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে শ্লেষ্মা জাতীয় সমস্যা বৃদ্ধি পায়। যার কারণে অ্যাজমার ট্রিগার এবং হার্ট অ্যাটাক বাড়তে পারে।
No comments:
Post a Comment