ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় এই ব্যক্তির চোখ হয়ে যায় এমন
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৪ ডিসেম্বর : যে কোনও মানুষ বা প্রাণীর জীবনে চোখ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। চোখ না থাকলে যে কোনো কাজ করতে অসুবিধা হবে। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের চোখ নেই। কেউ জন্মগতভাবে অন্ধ আবার কেউ দুর্ঘটনায় চোখ হারান। আমরা এমন একজন ব্যক্তির সম্পর্কে জানবো যার এমন একটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল যে তার চোখে একটি অদ্ভুত সমস্যা দেখা দেয়। তার চোখ তারা আকৃতির হয়ে ওঠে। তার চোখের দিকে তাকালে মনে হয় যেন তাদের মধ্যে কোন তারা বিদ্যমান। পৃথিবীর আর কেউ এমন সমস্যার মুখোমুখি হতেন না।
প্রকৃতপক্ষে, একজন ৪২-বছর-বয়সী ব্যক্তিকে কাজের সময় সত্যিই কঠিন দিনের মুখোমুখি হতে হয়েছিল এবং তার চোখে অদ্ভুত তারা-আকৃতির ছানি পড়েছিল। LadBible-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, লোকটির অদ্ভুত অবস্থা প্রথম শিরোনাম হয়েছিল ২০১৪ সালে যখন মামলাটি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনের একটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু ঘটনাটি আসলে এক দশক আগে ঘটেছিল। ওই ব্যক্তি দশ বছর পরেও তার দুটি চোখ নিয়ে অদ্ভুত সমস্যায় ভুগছিলেন।
রিপোর্ট অনুসারে, লোকটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে কাজ করছিলেন, কিন্তু একদিন তার শিফটের সময় তিনি ১৪০০ ভোল্টের একটি ভয়ানক বৈদ্যুতিক শকে আঘাত পান। দুর্ঘটনাক্রমে তার কাঁধ একটি উচ্চ ভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে আসে, যার কারণে তার সারা শরীরে উচ্চ ভোল্টেজের কারেন্ট চলে যায়। এতে তার দুই চোখের পুতুলই পুড়ে যায়। তদন্তে জানা গেছে, তার দুই চোখেই অস্বাভাবিক আকারের ছানি রয়েছে। আসলে চোখের লেন্স আবছা হয়ে গেলে ছানি হয়, যার কারণে মানুষের দৃষ্টি খুবই ঝাপসা হয়ে যায় এবং এটাই অন্ধত্বের প্রধান কারণ।
বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার চার মাস পরে, রোগীর ছানি অপসারণ এবং একটি নতুন লেন্স ঢোকানোর জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল, যা তার দৃষ্টিশক্তির কিছুটা উন্নতি করেছিল, তবে তার অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি মেরামতের বাইরে ছিল। এমতাবস্থায় তার দৃষ্টি সীমাবদ্ধ ছিল। খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার এত বছর পরও রোগী এসব সমস্যার অভিযোগ করেছেন।
No comments:
Post a Comment