শীতের বাস্তু প্রতিকার
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৬ ডিসেম্বর : ডিসেম্বরে আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন হয়, তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে শীত শুরু হয়। ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের জীবন এবং পরিবেশে পরিবর্তন আনে। বাস্তু অনুসারে, একজন ব্যক্তির তার বাড়ির সাথে তার খাবার, পোশাক এবং দৈনন্দিন রুটিনে কিছু জিনিসের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ।
জানা অজানা করা যেকোনও ভুল আপনার স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আপনার সম্পদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শীতকালে আমাদের সাবধান হওয়া উচিৎ এবং কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ, এতে সমৃদ্ধি আসে এবং স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। জেনে নেওয়া যাক শীতে বাস্তুর বিশেষ প্রতিকার-
এসব জিনিসের দান- শীতকালে আমরা প্রায়ই আমাদের খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে অসতর্ক হয়ে পড়ি। আপনি যদি শীতে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সমৃদ্ধি চান তবে যতটা সম্ভব ঘি এবং গুড় খান। গুড় সূর্যের সাথে সম্পর্কিত। গুড় খাওয়া এবং দান করলে সম্মান, ধন ও শক্তি বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া এই জিনিসগুলো দান করুন অসহায় মানুষকে। এই প্রতিকার আপনাকে শুধু গ্রহের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করবে না বরং আপনার ধন-সম্পদও বৃদ্ধি করবে।
পর্দার যত্ন নিন:
ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে আমরা দরজা বা জানালায় মোটা পর্দা লাগালেও বাস্তু মতে এমনটা করা ঠিক নয় কারণ এটি ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে দেয় না। সূর্যের আলোর কারণে ঘরে ইতিবাচক শক্তি থাকে।
ফায়ারপ্লেস:
যদিও এখন মানুষ প্রচণ্ড ঠান্ডায় ঘরে হিটার ব্যবহার করে, কিন্তু যেসব বাড়িতে এখনও ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য ফায়ারপ্লেস জ্বালিয়ে রাখা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অগ্নিকুণ্ড সর্বদা উত্তর-পশ্চিম দিকে বা অগ্নিকোণে জ্বালাতে হবে। এটি করতে ব্যর্থ হলে অগ্নিকুণ্ড সম্পর্কিত বাস্তু ত্রুটি হতে পারে এবং পরিবারকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতে পারে।
ধূপ :
ধর্মে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করতে গুগ্গল ধূপ জ্বালানোর প্রথা রয়েছে। ঠাণ্ডার কারণে সূর্যের আলো কমে যাওয়ায় ঘরবাড়িতে অন্ধকার। অন্ধকারের কারণে নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ বেড়ে যায়, যা পারিবারিক সমস্যা, মানসিক চাপ, রোগ ইত্যাদির মতো সমস্যার দিকে নিয়ে যায়। এমন অবস্থায় শীতের সময় সপ্তাহে দুবার ধূপ জ্বালান এবং এর সুগন্ধ সারা ঘরে ছড়িয়ে দিন। এতে নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়।
No comments:
Post a Comment