ঘুমনোর সঠিক ভঙ্গি কোনটি?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৭ ডিসেম্বর : যখনই আমরা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কথা বলি, তখনই ভালো ঘুম হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে ঘুমনো ও ঘুম থেকে ওঠা শরীরকে বিশ্রাম দেয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। যখন আমরা পূর্ণ ঘুম পাই, তখন আমরা সারাদিন উদ্যমী অনুভব করি। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা রাতে ঠিকমতো ঘুমান না বা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তাদের হাতে ভারী ভাব ঘাড়ে ও কোমরে ব্যথা অনুভব করেন।
আসলে, এটি আমাদের খারাপ ঘুমের ভঙ্গির কারণেও ঘটতে পারে। ঘুমনোর অবস্থানের দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমনোর সময় শরীরের কোনো একটি অংশে খুব বেশি ওজন থাকা উচিৎ নয়।
আসুন জেনে নেই ঘুমের সঠিক ভঙ্গি সম্পর্কে :
পাশ ফিরে ঘুম:
আপনি যদি ক্রমাগত আপনার পাশে ঘুমান তবে এটি ঠিক নয়। কারণ এটি করার ফলে, কোমর বাঁকানো এবং হাঁটু একে অপরকে ওভারল্যাপ করে, যা জয়েন্টে ব্যথা এবং কোমর সম্পর্কিত সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, মেরুদণ্ড সোজা রাখা এবং মোচড়ানো এবং বাঁকানো এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, হাঁটুর মধ্যে একটি বালিশ রাখা উচিৎ, যা নিতম্ব এবং শ্রোণী অঞ্চলকে সোজা রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং নীচের পিঠের চাপ কমিয়ে দেবে।
পেটে ভর ঘুমনো:
পেটের উপর ঘুমালে স্বস্তি পাওয়া যায়, তবে এটি কেবল পাকস্থলী নয়, ঘাড় এবং শরীরের নীচের অংশেও প্রভাব ফেলে। কিন্তু পেটের নিচের দিকে বালিশ রেখে ঘুমলে পেটে চাপ কম পড়বে।
পিঠে ভর করে ঘুমনো:
পিঠের উপর ভর দিয়ে ঘুমালে ঘাড়ের পেশীতে তেমন চাপ পড়ে না এবং স্ট্রেনের ঝুঁকিও কম হয়। এটি ঘাড় এবং পিঠের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।
সঠিক বালিশ ব্যবহার :
খুব পাতলা বা মোটা বালিশ ব্যবহার করলে ঘাড়ের ক্ষতি হতে পারে। এর পাশাপাশি, কোমর এবং পেশীতে চাপ পড়তে পারে। এমতাবস্থায়, বালিশটি এমন হওয়া উচিৎ যাতে ঘাড়ে সামান্য বাঁক থাকে এবং মাথাটি শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় খুব বেশি বা খুব কম না হয়। কারো যদি পিঠে বা ঘাড়ে ব্যথা থাকে, তাহলে বালিশ না নিলেই ভালো হবে।
সঠিক গদি নির্বাচন করুন:
ঘুমানোর জন্য সঠিক ম্যাট্রেস থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমতাবস্থায় খেয়াল রাখবেন ম্যাট্রেস যেন খুব বেশি নরম বা শক্ত না হয়। কারণ অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, ঘুমনোর অবস্থান এমন হওয়া উচিৎ যাতে ব্যক্তি আরাম পায় এবং মেরুদণ্ড ও শরীরের গঠন ও অবস্থাও ঠিক থাকে।
No comments:
Post a Comment