জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি দেয় এই একাদশী
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ ডিসেম্বর : বছরে ২৪টি একাদশী এবং প্রতি মাসে ২টি একাদশী পড়ে। প্রতিটি একাদশীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মার্গশীর্ষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের আসন্ন একাদশীকে উৎপন্না একাদশী বলা হয়।এই উপবাসের প্রভাবে বর্তমানের পাশাপাশি পূর্বজন্মের পাপও মুছে যায়।
এছাড়াও বহু প্রজন্মের পূর্বপুরুষরা মোক্ষ লাভ করেন। উৎপন্ন একাদশীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। উৎপন্না একাদশীর প্রভাবে জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মুহুর্ত:
উৎপন্না একাদশী তারিখ - ৮ ডিসেম্বর
মার্গশীর্ষ কৃষ্ণ একাদশী তারিখ শুরু - ৮ ডিসেম্বর সকাল ৫:০৬
মার্গশীর্ষ কৃষ্ণ একাদশী তারিখ শেষ - ৯ ডিসেম্বর সকাল ৬:৩১
ব্রত পারনের সময় - দুপুর ১:১৫- দুপুর ৩:২০ ৯ ই ডিসেম্বর
গল্প:
কিংবদন্তি অনুসারে, সত্যযুগে মুর ছিলেন নদীজঙ্ঘ নামে এক অসুরের পুত্র। তিনি খুব শক্তিশালী ছিলেন। ইন্দ্র, বরুণ, যম, অগ্নি, বায়ু, ইশ, চন্দ্র, নৈরিত প্রভৃতির জায়গায় মুর তার শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমস্ত দেবতারা তার কাছে পরাজিত হয়েছিল। ব্যথিত হয়ে দেবতারা শিবের আশ্রয়ে পৌঁছলে মহাদেব সবাইকে মুর জয়ের সমাধান জানতে ভগবান বিষ্ণুর কাছে যেতে বলেন।
মুর-হরির মধ্যে যুদ্ধ:
ভোলেনাথের নির্দেশে দেবতারা শ্রী হরি বিষ্ণুর কাছে পৌঁছে তাদের কষ্ট ইন্দ্রকে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করলেন। ভগবান বিষ্ণু মুরকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছেছিলেন। ভগবান বিষ্ণুকে দেখার সাথে সাথে তিনি তাকেও আক্রমণ করলেন। কথিত আছে যে মুর-শ্রীহরির মধ্যে এই যুদ্ধ ১০ হাজার বছর ধরে চলেছিল।
এভাবেই আবির্ভূত হয় দেবী একাদশী:
যুদ্ধ করতে করতে শ্রীহরি ক্লান্ত হয়ে পড়লে তিনি বদ্রিকাশ্রম গুহায় বিশ্রাম নিতে থাকেন। মুরও বিষ্ণুকে তাড়া করে সেখানে পৌঁছে গেল। তিনি শ্রী হরিকে আক্রমণ করতে যাচ্ছিলেন এমন সময় হঠাৎ ভগবান বিষ্ণুর দেহ থেকে এক দীপ্তিময় দেবীর জন্ম হল।দেবী সেই অসুরকে বধ করলেন। ভগবান বিষ্ণু দেবীকে বললেন মার্গশীর্ষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে তোমার জন্ম হয়েছে, তাই আজ থেকে তোমার নাম হবে একাদশী। দেবী একাদশীর এই দিনে জন্ম হয়েছিল, তাই একে উৎপন্না একাদশী বলা হয়। যে একাদশী উপবাস করে সে জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পায়।
No comments:
Post a Comment