ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান, খেতে পারেন এই জল
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৩ ডিসেম্বর: কিশমিশ এমন একটি শুকনো ফল যা অনেক গুণে ভরপুর। এটি খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায় এবং এটাও বলা হয় যে এটি খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি কখনই হবে না।
এটি অন্যান্য শুকনো ফলের তুলনায় এটি কম দামে বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু এর উপকারিতা অনেক বেশি। এটি একটি সুপারফুড যা আপনাকে অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। রক্ত সংক্রান্ত রোগ এবং শরীরের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কিশমিশ সবচেয়ে বিশেষ।
আয়রনের ঘাটতি দূর :
যারা রক্তশূন্যতার মতো সমস্যায় ভুগছেন, যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা রয়েছে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভিজিয়ে কিশমিশ খেলে তারা অনেক উপকার পাবেন।
দাঁত ও হাড় মজবুত করে- কিশমিশে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ও প্রোটিন, পটাসিয়ামের মতো এই সব পুষ্টি উপাদান দাঁত ও হাড় মজবুত করার জন্য দায়ী। এর সেবনে দাঁত ও হাড় মজবুত হয়।
যাদের চোখ দুর্বল এবং দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করেছে, তাদের কিশমিশ খাওয়া শুরু করা উচিৎ, কারণ এতে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চোখের পেশীকে শক্তিশালী করে।
হৃদরোগ সারাতে কিশমিশও খেতে পারেন। NCBI ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, কিশমিশ খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে পারে, যার ফলে কোলেস্টেরলের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
কিশমিশকে কার্বোহাইড্রেটের একটি প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।কিশমিশে উচ্চ পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা উচ্চ-তীব্র অনুশীলনের পরে পেশী দ্রুত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।কিশমিশে ডায়েটারি ফাইবার এবং প্রোবায়োটিক পাওয়া যায়। এই দুটি উপাদানই পাকস্থলীতে ভালো এবং স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে যা শরীরের অন্দরে উপস্থিত সোডিয়ামের প্রভাব কমাতে পারে। এর মাধ্যমে রক্তচাপ ভারসাম্য বজায় থাকে।আপনার ইচ্ছামত কিশমিশ খেতে পারেন।কিন্তু এর পরিপূর্ণ উপকার পেতে হলে তা ভিজিয়ে খেতে হবে। কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে কিশমিশ ও এর জল পান করুন। এতে আপনি প্রচুর সুবিধা পাবেন।
No comments:
Post a Comment