অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ অনেক বিরোধী সাংসদ হলেন সাসপেন্ড
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর : অন্য দিনের মতো সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিরোধী দলগুলি সংসদের নিরাপত্তার ত্রুটির বিষয়ে তাদের দাবিতে অনড় ছিল। এ নিয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভায় তুমুল হট্টগোল হয়। এদিকে, লোকসভার স্পিকার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ ৩০ জন সাংসদকে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করেছেন। বিশেষাধিকার কমিটির প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত তিন সংসদ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৩ বিরোধী সাংসদকে পুরো অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী, অপরুপা পোদ্দার, প্রসূন ব্যানার্জি, মহম্মদ ওয়াসির, জি সেলভাম, সিএন আন্নাদুরাই, ডক্টর টি সুমাথি, কে নাভাস্কানি, কে বীরস্বামী, এন কে প্রেমচন্দ্রন, সৌগত রায়, শতাব্দী রায়, অসিত কুমার মাল, কৌশলেন্দ্র কুমার, অ্যান্টনি কুমার ছাড়াও এস এস পালানামনিক্কম, থিরুভারুস্কার (সু. থিরুনাভুক্কারাসার), প্রতিমা মন্ডল, কাকোলি ঘোষ, কে মুরালীধরন, সুনীল কুমার মন্ডল, এস রামা লিঙ্গম, কে সুরেশ, অমর সিং, রাজমোহন উন্নিথান, গৌরব গগৈ এবং টিআর বালুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এই ৩০ জন সাংসদকে হট্টগোলের কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তিনজন কে. প্রিভিলেজ কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জয়কুমার, বিজয় বসন্ত এবং আবদুল খালিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আসলে, বিরোধী দলগুলি ক্রমাগত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লোকসভার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে উভয় কক্ষে (লোকসভা এবং রাজ্যসভা) বিবৃতি দেওয়ার জন্য দাবি করছে।
এদিকে, অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টিভিতে যে বিবৃতি দিচ্ছেন আমরা তা হাউসে দিতে চাই। এ ছাড়া সংসদের নিরাপত্তার জন্য সরকার আর কী পদক্ষেপ নেবে তা দেশ ও আমাদের জানান।
এর আগেও লোকসভার ১৩ বিরোধী সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল। এতে কংগ্রেসের টিএন প্রথাপন, হিবি ইডেন, জোতিমণি, রাম্য হরিদাস, ডিন কুরিয়াকোস, ভিকে শ্রীকন্দন, বেনি বেহানান, মোহাম্মদ জাভেদ এবং মানিকম ঠাকুর রয়েছেন। ডিএমকে-র কানিমোঝি, সিপিআই(এম)-এর এস ভেকশন এবং সিপিআই-এর কে. ইনি সুব্বারায়ণ।
No comments:
Post a Comment