প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হতে পারে এই রোগের লক্ষণ - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Saturday 16 December 2023

প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হতে পারে এই রোগের লক্ষণ

 


প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হতে পারে এই রোগের লক্ষণ



ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১৬ ডিসেম্বর : কিডনি হোক বা লিভার, এটি আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।  লিভার আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ করে, যেখানে কিডনির কাজ হল আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য অংশ আলাদা করে শরীর থেকে বের করে দেওয়া।  এতে কোনো ধরনের সংক্রমণ বা ত্রুটি শুরু হলে তা শরীরে বিভিন্ন ধরনের সংকেত দেয়।  কিডনি রোগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যতক্ষণ না রোগটি খুব বেশি ছড়ায়, ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যক্তি ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেন না। 


 রোগের সূত্রপাত এবং অগ্রগতির সময়, কিডনি বিভিন্ন সংকেত দিয়ে সতর্ক করে।  শরীরকে সাবলীলভাবে সচল রাখতে কিডনি অনেক কাজ করে।  যেমন, রক্ত ​​বিশুদ্ধ করা এবং তা থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, শরীরে লোহিত রক্তকণিকার ঘাটতি যাতে না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি করা, প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ ও ফিল্টার করা এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে শরীর সুস্থ করতে।


 তাই সুস্থ শরীরের জন্য কিডনি সুস্থ রাখা খুবই জরুরি।  যখনই কিডনিতে কোনো ধরনের সংক্রমণ হয়, তারা আপনাকে কিছু বিশেষ সংকেত দিয়ে সতর্ক করে।  কিডনি রোগের সাথে সম্পর্কিত এই ৫ টি লক্ষণ চিনুন এবং সময়মতো জেনে নিন যে আপনার কিডনির অতিরিক্ত যত্ন এবং আপনার সহায়তা প্রয়োজন।  কারণ কিডনি রোগ একবার বেড়ে গেলে বা আরও ছড়িয়ে পড়লে জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়ে।


 দুর্গন্ধ:


 সাধারণত, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের কারণ হল কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া এবং সারাদিন শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী জল না পান করা।  তবে আপনার যদি ক্রমাগত নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয় তবে আপনার অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ। কারণ নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধও কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।


 প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন:


কিডনির একটি প্রধান কাজ হল প্রস্রাব ফিল্টার করা।যখন কিডনিতে সংক্রমণ বা কোনো রোগ তৈরি হয়, তখন এটি আপনার প্রস্রাবের রঙকেও প্রভাবিত করে এবং এই ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়।


 ফেনা প্রস্রাব:


 গাঢ় হলুদ প্রস্রাবের রঙ

 রাতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব করা

 ঘন মূত্রত্যাগ

 প্রস্রাবের পরিমাণ অত্যধিক হ্রাস বা বৃদ্ধি


 ক্লান্ত :


 শরীরে আয়রন ও পুষ্টির অভাব এবং কিডনির সমস্যার কারণেও ক্লান্তি দেখা দেয়।  অতএব, আপনার সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ করার কারণ জানতে, সময়মতো আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।  কারণ কিডনি যখন ঠিকমতো কাজ করে না তখন রক্তে লোহিত কণিকার ঘাটতি দেখা দেয়।  এই কোষগুলি রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বজায় রাখতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।  রক্তে অক্সিজেন কম থাকলে শরীর ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করে।


 শ্বাস বন্ধ:


 রক্তে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস কষ্ট হয়।  অথবা শ্বাসকষ্ট অনুভব করা।  এমনও মনে হতে পারে যেন নিঃশ্বাস খুব কম আসছে।  রক্তে লোহিত কণিকার অভাবের কারণে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।  তাই এই শ্বাসকষ্ট কিডনি রোগের উপসর্গও হতে পারে।


 ত্বকের সমস্যা:


 ত্বকে অতিরিক্ত চুলকানি, অতিরিক্ত ফুসকুড়ি, ফুসকুড়ি ইত্যাদিও কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।  কারণ কিডনি রক্ত ​​পরিশোধন করে, বিষাক্ত উপাদানগুলোকে আলাদা করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়।  কিন্তু অসুস্থতা বা সংক্রমণের ক্ষেত্রে এটি না হওয়ার কারণে ত্বকে এই সমস্যাগুলি হতে শুরু করে।  তাই ত্বকে এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad