কেন করবেন এই শীতে ঠান্ডা জলে স্নান?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৭ ডিসেম্বর : শুধু গ্রীষ্মেই নয় শীতকালেও ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করা উচিৎ, চলুন জেনে নেই এর কারণ-
গরম জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের আর্দ্রতা ও প্রাকৃতিক তেল দূর হয়, যা ত্বকে শুষ্কতা বাড়ায়। এ কারণে চুলও হয়ে যেতে পারে প্রাণহীন। তাই স্বাভাবিক অর্থাৎ ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
শীতকালে বেশিরভাগ লোকই গরম জল দিয়ে স্নান করেন। এটি শরীরে আরাম এবং উষ্ণতা প্রদান করে। তবে এটি দিয়ে স্নান করলে চুল ও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
আসলে গরম জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের আর্দ্রতা ও প্রাকৃতিক তেল দূর করে, যা ত্বকে শুষ্কতা বাড়ায়। এ কারণে চুলও হয়ে যেতে পারে প্রাণহীন। তাই স্বাভাবিক অর্থাৎ ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঠাণ্ডা জল দিয়ে ত্বক ও চুল ধোয়ার পরামর্শও দেন বিশেষজ্ঞরা।
চুল সুস্থ থাকে: গরম জল দিয়ে স্নান করলে চুলে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে, এতে চুল প্রাণহীন হয়ে পড়ে। অনেক সময় চুল পড়াও শুরু হয়। এ অবস্থায় ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করা উচিৎ।এটি চুলকে সুস্থ করে তোলে। ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, যার ফলে মাথার ত্বক ও চুলের ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছে এবং লোমকূপ মজবুত হয়। এটিও চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে।
মাথার ত্বক সুস্থ রাখুন: গরম জল দিয়ে স্নান করলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং খুশকি ও চুলকানির মতো সমস্যা হতে শুরু করে। বরং ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করলে তা প্রতিরোধ হয়। ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করলে মাথার ত্বক আর্দ্র থাকে এবং চুলের গোড়ার ক্ষতি হয় না। এর পাশাপাশি মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ভালো থাকে।
অ্যালার্জি কমায়: চুলকানি ত্বকে পড়লে ঠাণ্ডা জল ফোলা কমাতে কাজ করে। এটি চুলকানির সমস্যাও দূর করে। একজিমা থেকে মুক্তি দিতেও ঠাণ্ডা পানি উপকারী।
ত্বকের প্রদাহ কমায়: ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করলে আরাম পাওয়া যায়। এটি ত্বকের ফোলাভাব ও জ্বালাপোড়া কমাতে কাজ করে। এটি ত্বকের লালভাব কমায় এবং রোসেসিয়ার মতো ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এর ফলে ত্বক টানটান হয়ে যায়। ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করলে ছিদ্র, বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা কমে যায়। এটি ব্ল্যাকহেডস এবং ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment