শীতকালে নিন শিশুর যত্ন এভাবে
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৭ ডিসেম্বর : শিশুরা শীতে দ্রুত ভাইরাস এবং সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে যায়। তাদের মধ্যে নানা ধরনের রোগ বাড়ে, যা পরবর্তীতে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শীতে শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। যেহেতু শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাই তারা শীঘ্রই ভাইরাস এবং সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে। এই কারণেই শীতকালে শিশুদের প্রায়ই কাশি, সর্দি বা জ্বর খুব সহজে হয়। তাই শিশুদের ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
অনেক স্তরে কাপড় পরুন: শীত এড়াতে শরীর গরম রাখতে হবে। এই জন্য, শিশুদের বেশ কয়েকটি স্তরে পোষাক করা উচিত। গরম কাপড় শিশুদের ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করে। শিশুদের শুধুমাত্র থার্মাল এবং সোয়েটার পরানোর চেষ্টা করুন। খুব বেশি এবং মোটা সোয়েটার পরা এড়িয়ে চলুন। এ কারণে শিশুদের অতিরিক্ত গরম বা নার্ভাসনেসের সমস্যা হতে পারে।
শিশুদের সরাসরি সোয়েটার পরানো এড়িয়ে চলুন: অনেক মহিলা তাদের শিশুদের সরাসরি সোয়েটার পরান, যা ভুল। সোয়েটার যতই নরম হোক না কেন, তা শিশুদের শরীরে ফুসকুড়ি বা চুলকানির কারণ হতে পারে। সরাসরি সোয়েটার পরাও শিশুর মধ্যে বিরক্তির কারণ হতে পারে, তাই শিশুদের সুতির টি-শার্ট পরেই সোয়েটার পরা উচিত।
শিশুদের কান, মুখ ও পা ঢেকে রাখুন: ঠান্ডা বাতাস ও শীতে শিশুদের কান, মুখ ও পা ঢেকে রাখতে হবে। কারণ কানে বাতাস ঢুকলে গলা ব্যাথা হতে পারে এবং ভিতরে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই বাইরে যাওয়ার আগে শিশুদের ক্যাপ, স্কার্ফ বা অন্য কিছু পরিয়ে দিন। গাড়িতে ভ্রমণের সময় আপনার সন্তানকে মাস্ক পরিয়ে দিতে ভুলবেন না। আপনার পা এবং হাতের জন্য মোজা এবং গ্লাভস পরতে ভুলবেন না।
শিশুদের অবশ্যই শুকনো ফল খাওয়াতে হবে: শীতকালে শুকনো ফল খাওয়া উচিৎ। এদের স্বভাব গরম হওয়ায় এরা শরীর গরম রাখার কাজ করে। তাই বাচ্চাদের শুকনো ফল যেমন বাদাম, আখরোট, ডুমুর, কিশমিশ, খেজুর দিন। আপনি চাইলে তাদের জন্য শুকনো ফলের লাড্ডুও বানাতে পারেন।
সন্ধ্যার পর ঘরের ভেতরে থাকতে বলুন: ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় সন্ধ্যার পর শিশুদের ঘরের বাইরে যেতে দেবেন না। অপ্রয়োজনে বাইরে যাওয়া বন্ধ করুন। শিশুকে সকালে ও বিকেলে খেলতে পাঠান। কারণ বাইরের কার্যকলাপ তাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment