উদ্ধার ৪ হাজার বছরের পুরনো 'কালো সোনা'
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৩ ডিসেম্বর : আমাদের এই পৃথিবী রহস্যে ভরা। বিজ্ঞানীরা যখনই এসব সম্পর্কিত কোনো উদ্ঘাটন করেন, আমরা অবাক হই। এমন নয় যে এই গুপ্তধন শুধু পৃথিবীর নীচেই, সমুদ্রের নীচেও এমন অনেক রহস্য রয়েছে যা এখনও উন্মোচিত হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্র থেকে এমন এক রহস্য বেরিয়ে এসেছে যা সবাইকে অবাক করেছে। আসলে, ডুবুরিরা আট কেজি কালো সোনার সন্ধান পেয়েছেন।
এই গুপ্তধনটি ইতালির সমুদ্রতটে পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে এটি একটি ৪০০০ বছরের পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে। এগুলি হল অবসিডিয়ানের টুকরো, যা একটি বেগুনি-কালো আগ্নেয়গিরির কাচ। যাকে বিশ্ব কালো সোনা নামেও চেনে। ইংরেজি ওয়েবসাইট দ্য সান-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপলস পুলিশের আন্ডারওয়াটার ইউনিট আবিসিডিয়ানের টুকরোগুলো আবিষ্কার করেছে। যা দেখার পর বিশেষজ্ঞরা বেশ অবাক হয়েছেন।
এই ‘কালো সোনার’ মূল্য কত:
এটি ইতালির ক্যাপ্রির গ্রোটা বিয়ানকার সমুদ্র গুহার কাছে আবিষ্কৃত হয়েছে। মজার বিষয় হল এই দলটি একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান করতে গিয়েছিল এবং এই সময় তারা এই অবসিডিয়ান পাথরের টুকরোগুলি খুঁজে পায়। যার মোট ওজন বলা হয় আট কেজি। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ডুবুরিদের দল স্প্যানিশ জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজতে গিয়েছিল। যা ১৭০৮ সালে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সাথে যুদ্ধের সময় ডুবে যায়। এ সময় তিনি চার হাজার বছরের পুরোনো এই গুপ্তধনটি ধরে ফেলেন।
এটি প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার। এটি একটি বিস্ময়কর পাথর, যা দীর্ঘ সময় ধরে কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আগ্নেয়গিরির লাভা খুব দ্রুত জমাট বাঁধার ফলে ওবসিডিয়ান তৈরি হয়। এর টেক্সচার সবসময় একই থাকে। জ্যোতিষীদের মতে, এই পাথরটি নেতিবাচক শক্তিকে থামাতে, টানতে এবং রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখে। এই কারণে এটি একটি ব্যয়বহুল রত্ন।
No comments:
Post a Comment