শিশুদের এই কয়টি জিনিস অবশ্যই শেখান
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২০ ডিসেম্বর : শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের সুস্থ ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। কিন্তু বর্তমানে শিশুদের মধ্যে মানসিক চাপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা একটি মারাত্মক সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। এর জন্য অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন- পড়াশোনার চাপ, বাবা-মায়ের উচ্চ প্রত্যাশা, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, ব্যস্ত জীবন এবং সোশ্যাল মিডিয়া, যার কারণে শিশুরা নার্ভাসনেস, নেতিবাচকতা এবং একাকীত্বের শিকার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদেরকে শৈশব থেকেই কিছু বিষয় শেখানো উচিত যাতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য মজবুত হয় কারণ শৈশব এমন একটি সময় যখন শিশুদের মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশ ঘটে। এই বয়সে তাদের কিছু জিনিস শেখানো হলে তারা দ্রুত শিখে ফেলে।আসুন জেনে নেই কোন ৫টি জিনিস শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য মজবুত করতে শেখানো যেতে পারে-
সঙ্গীত :
গান শেখা শিশুদের জন্য খুবই উপকারী। এটি তাদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে এবং তাদের মধ্যে অনেক ভাল অভ্যাস গড়ে তোলে।শিশুরা যখন একটি বাদ্যযন্ত্র বাজায়, তখন তাদের মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে এতে নিবদ্ধ হয়। তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারে। এটি তাদের স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে এবং তাদের মনকে শাণিত করে।
নাচ শেখান:
শিশুরা যখন নাচ করে, তখন তাদের গতিবিধি বুঝতে হবে এবং সঙ্গীতের বীটের সাথে তাদের শরীরের অঙ্গগুলির সমন্বয় করতে হবে। এতে তাদের মন ও শরীর উভয়ই সক্রিয় থাকে। এতে তাদের মন প্রখর হয়।
খেলাধুলা শেখান:
শিশুদের খেলাধুলা শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক উভয় বিকাশের জন্যই উপকারী। খেলাধুলা শিশুদের মনকে তীক্ষ্ণ করে। খেলাধুলার সময় শিশুদের খেলার নিয়ম বুঝতে হবে, কৌশল তৈরি করতে হবে এবং প্রতিপক্ষের চাল বুঝতে হবে। এসবই তাদের মনকে সচল রাখে। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে শেখে।এছাড়াও, শারীরিক ব্যায়াম তাদের মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যা তাদের একাগ্রতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তিকে উন্নত করে।
অঙ্কন শেখান:
ছবি আঁকা এবং রং করার মতো শিল্পকর্ম করা শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র একটি মজার কাজই নয়, শিশুদের মনের বিকাশেও সাহায্য করে।শিশুরা যখন ছবি আঁকে বা রঙ করে, তখন তাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ সেই কাজের দিকে থাকে। তারা দীর্ঘ সময় ধরে সেই কাজে মনোনিবেশ করে এবং নিমগ্ন থাকে। এতে তাদের ফোকাস করার ক্ষমতা বাড়ে।
বাগান শেখান:
বাগান করার মাধ্যমে শিশুরা প্রতিদিনের যত্ন, ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রম শেখে যা ভবিষ্যতে তাদের জন্য খুবই উপকারী।
No comments:
Post a Comment