দেরি করলেও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছয় কীভাবে ট্রেন?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৬ ডিসেম্বর : শীত শুরু হয়েছে, এখন কুয়াশার কারণে ট্রেনে দেরি হওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু কখনও কখনও দেরিতে চলা ট্রেনও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছয়।
ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্ক বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে। তবে যাত্রার সময় অনেক সময় ট্রেন লেট হয়ে যায়। অথবা ট্রেনটি পথে দেরিতে চলছে, কিন্তু গন্তব্যে সময়মতো পৌঁছায়। এছাড়া পরের দিনও নির্ধারিত সময়ে একই ট্রেন গন্তব্যস্থল থেকে ছাড়ে।
এমতাবস্থায়, অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক যে, দেরিতে চলা ট্রেন কীভাবে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছবে? এর জন্য ড্রাইভার কি করে? এটা কি শুধু ট্রেনের গতি বাড়ানোর মাধ্যমে হয়, নাকি অন্য কোনো কৌশল অবলম্বন করা হয়?
ভারতীয় রেল সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিবর্তন করে চলেছে। এই কারণেই স্বল্প দূরত্বের ট্রেনগুলির সময় এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যাতে দেরি হলেও তারা ফেরার সময় সময়মতো গন্তব্যে যেতে পারে।
এ ছাড়া দূরপাল্লার আরও অনেক জোড়া ট্রেনও চলে, যেগুলোকে রেক বলা হয়। এর মাধ্যমেও পরের দিন নির্ধারিত সময়ে গন্তব্য থেকে ট্রেন ছাড়ে।
উদাহরণ, লিচ্ছবি এক্সপ্রেসের মতো বিহারের সীতামারহি এবং দিল্লির আনন্দ বিহারের মধ্যে চলে। এই ট্রেনটি প্রতিদিন প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। ট্রেন নং ১৪০০৫ লিচ্ছবি এক্সপ্রেস প্রতিদিন দুপুর ২:৩০ সীতামাড়ী থেকে ছেড়ে যায় এবং পরের দিন ভোর ৪:৩৫ টায় আনন্দ বিহারে পৌঁছায়। এর পরে এই ট্রেনটি সন্ধ্যা ৬টায় আনন্দ বিহার থেকে সীতামারহির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এখন, সীতামড়ি থেকে আনন্দ বিহারে আসার সময় এই ট্রেনটি ১০ ঘন্টা দেরি করলেও, এটি আনন্দ বিহার থেকে সীতামড়ি পর্যন্ত সময়মতো ছাড়তে পারে। এখন এখানে রেক ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ধরুন এই ট্রেনটি কোনও বড় কারণে ২০ ঘন্টা দেরি করে, তাহলে আনন্দ বিহারে দাঁড়িয়ে থাকা লিচ্ছবি এক্সপ্রেসের দ্বিতীয় রেকটি তার নির্ধারিত সময়ে যাত্রী বহন করে আনন্দ বিহার থেকে সীতামড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment