এই পাথর তদন্তে করে যা পাওয়া গেল
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ডিসেম্বর : মহাকাশ এখনও মানুষের কাছে বোধগম্য নয়। মহাকাশে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা সম্পর্কে মানুষও সঠিকভাবে জানে না। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে আসা একটি পাথরেও তেমনই কিছু পাওয়া গেছে। আসলে, ২০১৫ সালে, একদিন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বসবাসকারী ডেভিড হোল তার মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মেরিবোরো রিজিওনাল পার্কে প্রাচীন বস্তু এবং খনিজগুলির সন্ধান করছিলেন। তখন তিনি মাটির নিচে চাপা পড়ে একটি লাল পাথর দেখতে পান। এই পাথরের ভিতরে হলুদ রঙের উপাদান ছিল, যেটিকে ডেভিড সোনা মনে করে তা তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি জানতে পারেন সেটি সোনা নয়, অন্য কিছু।
এই পাথরের গল্প:
যখন ডেভিড হোল এই পাথর বাড়িতে নিয়ে আসেন, তিনি এটি কাটার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এই পাথরটি খুবই শক্তিশালী ছিল। এমনকি তিনি এই পাথর জ্বালিয়ে তাতে অ্যাসিড ঢেলে দেয় কিন্তু কিছুই হয়নি। যখন ডেভিস বহু বছর ধরে এই পাথরটি বুঝতে এবং ভাঙতে ব্যর্থ হন, তখন তিনি এই পাথরটি মেলবোর্ন মিউজিয়ামে দেন।
তদন্তে যা পাওয়া গেছে:
ডেভিড হোল এটিকে মেলবোর্ন মিউজিয়ামে নিয়ে গেলে সেখানে পরীক্ষা করা হয়। তদন্তে যা বেরিয়েছে তা শুনে সবাই অবাক। আসলে, এটি একটি সাধারণ পাথর ছিল না, বরং একটি উল্কাপিন্ড যা মহাকাশ থেকে এসেছে। সবচেয়ে বড় কথা এই উল্কাপিণ্ডের বয়স ছিল প্রায় ৪৬০ বছর। তার মানে এটি ৪৬০ বছর বয়সী ছিল। এখন পর্যন্ত এটি এখনও ঠিক ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে যা প্রকাশিত হয়েছিল তা সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়েছে।
এটা সম্পর্কে কি বিশেষ ছিল:
বিজ্ঞানীরা যখন হীরার করাত দিয়ে ৪৬০ বছরের পুরোনো এই পাথরটি কেটেছিলেন, তখন তারা জানতে পেরেছিলেন যে এর ভিতরে এমন ধাতু রয়েছে যা পৃথিবীতে পাওয়া যায় না। সবচেয়ে বড় কথা এই ধাতুটি কী তা বিজ্ঞানীরাও জানেন না। এর পাশাপাশি এই পাথরে অনেক স্ফটিক ছিল যা জ্বলজ্বল করছিল। বিজ্ঞানের ভাষায় এগুলোকে বলা হয় কনড্রুলস। বলা হয় যে উল্কাগুলি মহাকাশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয় এবং এতে তারার উজ্জ্বল কণা থাকে।
No comments:
Post a Comment