বিয়ের আগে কেন করা হয় এই নিয়ম?
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৫ ডিসেম্বর : বিয়ের আগে পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠানের সাথে অনেক ধরনের আচার-অনুষ্ঠান করা হয়, যেগুলো বর্তমানে খুবই প্রচলিত। হিন্দু ধর্মে, বিবাহ মানে শুধুমাত্র একটি নতুন সম্পর্ক শুরু করা নয় বরং বিয়ের সাথে সম্পর্কিত অনেক নিয়ম রয়েছে যা এই সম্পর্কটিকে পবিত্র এবং বিশেষ করে তোলে। বিয়ের সময় ঐতিহ্যবাহী আচার ও পবিত্র মন্ত্রের মাধ্যমে বর-কনে বন্ধনে আবদ্ধ হন। সব ধর্মে বিবাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়ম ও পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু কিছু নিয়ম ও ঐতিহ্য আছে যা সাধারণত হিন্দু ধর্মের সব বিয়েতেই অনুসরণ করা হয়। এই আচারগুলি বিয়ের আগে হয়। বিয়ের আগে সম্পাদিত আচার-অনুষ্ঠান বর ও কনের জন্য খুবই বিশেষ এবং স্মরণীয়। আসুন জেনে নেই এই আচারগুলি সম্পর্কে এবং কীভাবে এই আচারগুলি করা হয়-
গণেশ পূজা:
ভগবান গণেশকে প্রথম উপাসক বলা হয়। কারণ প্রতিটি শুভ ও শুভকাজে প্রথমেই তাকে পূজা করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু করার আগেও বর ও কনে উভয়ের বাড়িতেই ভগবান গণেশের পূজা করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি বিবাহের আচারে কোন বাধা সৃষ্টি করে না এবং বাপ্পার কৃপায়, কখনও কখনও অনুষ্ঠানগুলি শুভভাবে সম্পন্ন হয়।
তিলক:
বিয়ের আগে তিলক আচার অবশ্যই করা হয়। এটি বিয়ের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার, যা বিয়ের কয়েকদিন আগে হয়। তিলক আচারে, কনের বাবা বা ভাই বরের কপালে তিলক লাগান এবং তাকে উপহার হিসাবে টাকা, নতুন জামাকাপড়, ফল, শুকনো ফল এবং মিষ্টি দেওয়া হয়। তিলক অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় বিয়ের অন্যান্য প্রস্তুতি।
মেহেন্দি:
বিয়েতেও মেহেন্দি অনুষ্ঠান হয়। এই দিনে, কনের হাতে তার ভাবী স্বামীর নামে মেহেন্দি লাগানো হয়। বরও এই দিনে হাতে মেহেন্দি লাগায়। অতএব, এই আচারটি বর এবং কনের জন্য খুব বিশেষ এবং স্মরণীয় মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি।
হলুদ:
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হলুদকে শুভ বলে মনে করা হয়। তাই বিয়ের মতো শুভ অনুষ্ঠানের সময় গায়ে হলুদ লাগানো গুরুত্বপূর্ণ।
সঙ্গীত:
শুধু বর-কনেই নয়, বিয়ের আগে পরিবারের সকল সদস্য ও অতিথিরাও সঙ্গীত অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এই আচারে, লোকেরা বিয়ের প্রস্তুতির চাপ থেকে স্বস্তি বোধ করে। এখন বিয়ের অনুষ্ঠানে ডিজে এবং আড়ম্বরপূর্ণ মিউজিক ফাংশনের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে।
No comments:
Post a Comment