হ্যানিবল লেকটার ফেসিয়াল সম্পর্কে জানেন কী?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৪ ডিসেম্বর : আমরা নিজেরা শরীর ও মুখমণ্ডলকে সুন্দর করতে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই থাকি। অনেক সময় এই পরীক্ষাগুলি এতটাই বিপজ্জনক এবং অদ্ভুত যে তাদের সম্পর্কে শুনলে হতবাক হয়ে যাবেন। এরকম একটি পরীক্ষা হল ইলেকট্রিক ফেসিয়াল। আসলে, এই ফেসিয়ালের সময় লোকেরা মুখকে সুন্দর করতে মুখে বৈদ্যুতিক তার লাগায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই তারে কারেন্ট আছে। চলুন জেনে নেই ইলেকট্রিক ফেসিয়াল সম্পর্কে-
ইলেকট্রিক ফেসিয়াল :
ইলেকট্রিক ফেসিয়ালকে হ্যানিবল লেক্টার ফেসিয়াল বা গ্যালভানিক বলা হয়। এই ফেসিয়ালের সময় মুখে বৈদ্যুতিক তার লাগানো হয়। তবে এতে স্রোতের প্রবাহ খুবই কম। এটি এতই হালকা যে এটি মুখের কোনো ক্ষতি করে না। তবে বিশেষজ্ঞরা এর অনেক অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছেন।
অনেক টাকা লাগে:
আপনি যদি এই ধরণের ফেসিয়াল করাতে চান তবে এর জন্য আপনাকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হবে। এই ফেসিয়াল সম্পর্কে বলা হয় যে এর একটি সেশনের দাম প্রায় ১৮০ ডলার অর্থাৎ প্রায় ১৫০০০ টাকা। যারা এটি সহ্য করে তারা বিশ্বাস করে যে এটি তাদের ত্বকের স্বর উন্নত করে। তবে বর্তমানে এই ফেসিয়ালের উন্মাদনা শুধু আমেরিকাতেই, তবে যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী সময়ে এশিয়ার দেশগুলোতেও মানুষ এই ধরনের ফেসিয়াল করাতে শুরু করবে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন:
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অনেক অসুবিধা রয়েছে। ইউএসএ টুডে-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফেসিয়ালের কারণে মুখের ত্বক পুড়ে যেতে পারে। কারণ এই প্রক্রিয়ার সময় মুখের ত্বক অত্যন্ত গরম হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভবতী মহিলা বা যারা কসমেটিক সার্জারি করেছেন তাদের এই ফেসিয়াল এড়িয়ে চলা উচিৎ। এর পাশাপাশি সংবেদনশীল ত্বকের লোকদেরও এই ফেসিয়াল এড়িয়ে চলা উচিত।
No comments:
Post a Comment