অতিরিক্ত খুশকি হচ্ছে, দূর হবে এভাবে
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩১ ডিসেম্বর : শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা কমতে শুরু করে এবং শুষ্কতা বাড়তে থাকে। মাথার ত্বকে খুশকি জমে মাঝে মাঝে মাথাব্যথাও হয়। খুশকির সমস্যা সময়মতো যত্ন না নিলে তা বিব্রত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর সাথে এটি মাথার ত্বকে ক্রাস্টের মতো জমতে শুরু করে, যার কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হতে শুরু করে এবং চুল পড়ার সমস্যা শুরু হয়। খুশকির দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থেকে ছত্রাকের সংক্রমণও হতে পারে।
অনেক সময় শীতকালে খুশকির সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে তা মাথা থেকে পড়তে শুরু করে এবং কাপড়েও দেখা যায়। আপনারও যদি খুশকির সমস্যা থাকে, তাহলে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন এবং কিছু ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করতে পারেন-
লেবুর রস:
খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লেবু অন্যতম সেরা ঘরোয়া উপায়। নারকেল, অলিভ বা সর্ষের তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে রেখে দিন এবং এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু থেকে তিনবার এই প্রতিকারটি পুনরাবৃত্তি করুন। এ ছাড়া অর্ধেক লেবুর রস জলে ছেঁকে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি দিয়ে আপনি খুব শীঘ্রই খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন।
আপেল সিডার ভিনেগার এবং মুলতানি মাটি:
মুলতানি মাটি দীর্ঘদিন ধরে চুল ধোয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে মুলতানি মাটি মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এই প্রতিকারটি ব্যবহার করলে খুশকি শীঘ্রই কমতে শুরু করবে।
পেঁয়াজের রস:
অনেক চুলের তেলেও পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে পেঁয়াজের রস লাগান এবং চুল ধোয়ার এক বা আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এতে শুধু খুশকি দূর হবে না, চুল পড়াও ধীরে ধীরে কমে যাবে।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন:
খুশকির সমস্যা থাকলে সারা রাত চুলে তেল রাখবেন না। এর পাশাপাশি চুল ধোয়ার এক ঘণ্টা আগে তেল লাগান যাতে মাথার ত্বকে আর্দ্রতা থাকে। প্রচুর জল পান করুন যাতে ত্বক ভেতর থেকে হাইড্রেটেড থাকে। জলের অভাবেও খুশকি শুরু হয়। এর পরেও যদি সমস্যা দূর না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি।
No comments:
Post a Comment