হাসপাতালে অকাল প্রসবকালীন শিশুদের জীবন বিপন্ন
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৪ নভেম্বর : গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় ইসরায়েলি হামলার কারণে রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করেছে যে আল শিফা এখন আর হাসপাতাল হিসেবে কাজ করতে পারবে না। আল শিফায় ভর্তি হওয়া অকাল প্রসবকালীন শিশু বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। হাসপাতালে ভর্তি নবজাতকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ছবিগুলোতে দেখা যায়, বেশ কিছু নবজাতককে এক বিছানায় একসঙ্গে ঘুমনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার শরীরে কোনো কাপড় নেই, তাকে সবুজ কাপড়ে মুড়িয়ে টেপ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। কোনো কোনো শিশুর এসব কাপড়ও নেই।
সময়ের সাথে সাথে এই শিশুদের জীবন বিপদের কাছাকাছি হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে এসব নবজাতক শিশুকে ইনকিউবেটর থেকে বের করে সাধারণ বিছানায় রাখা হয়েছে। এই অকাল শিশুদের ওজন ৭০০ গ্রাম থেকে ১.৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হয়। শিশুদের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল, তা নেওয়া হয়নি, যার কারণে শিশুরা নিজেদের মধ্যে ভাইরাস ছড়াচ্ছে।
আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার কারণে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করছেন। ইসরায়েলি ট্যাঙ্কে ঘেরা থাকায় হাসপাতালে খাবার, পানি, ওষুধ ও অনেক চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স আল শিফা হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ মোহাম্মদ তাবাশার বরাত দিয়ে হাসপাতালের পরিস্থিতি বর্ণনা করেছে।
টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ডাঃ মোহাম্মদ তাবাশা বলেন, "গতকাল হাসপাতালে ৩৯ জন শিশু জীবিত ছিল, আজ তা ৩৬-এ নেমে এসেছে। সেই শিশুরা কতদিন বাঁচবে তা বলতে পারব না। আজ এক বা দুই ঘণ্টার মধ্যে আরও দুটি সন্তান হারাতে পারে।"
আল শিফা হাসপাতালে শিশুদের পরিচর্যার সাথে জড়িত ডাঃ আহমেদ আল মোখলালাতি পরিস্থিতিটিকে মারাত্মক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, "সকল শিশুই গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছে। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এ ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ না করলে তারা ধীরে ধীরে মারা যাবে।"
No comments:
Post a Comment