কিশোর-কিশোরীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Thursday 9 November 2023

কিশোর-কিশোরীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট

 



 কিশোর-কিশোরীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট


ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৯ নভেম্বর : ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে, অর্থাৎ কিশোর বয়সে বাচ্চাদের মানসিক থেকে শারীরিক পর্যন্ত অনেক পরিবর্তন ঘটে।  তাই এই সময়ে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক বৃদ্ধির দিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি হয়ে পড়ে।  আজকের অবনতিশীল জীবনযাত্রায়, বাবা-মা প্রায়ই তাদের সন্তানদের বিকাশ নিয়ে চিন্তিত থাকেন।  খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে ব্যায়াম পর্যন্ত কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


 বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের খাদ্যাভ্যাসের সঠিক যত্ন না নিলে শারীরিক বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক বৃদ্ধিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।  অতএব, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে এই সময়কালে শিশুদের জাঙ্ক ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত জিনিস থেকে দূরে রাখা উচিৎ এবং স্বাস্থ্যকর জিনিসগুলি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।  তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিশোর-কিশোরীদের খাদ্যতালিকায় কোন কোন খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ-


 হাড় মজবুত করার জন্য :


 দেশী ঘি, দুধ, দই এবং মাখনের মতো দুগ্ধজাত খাবার শিশুদের বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।  টিনএজ হলো শারীরিক বৃদ্ধির সময় এবং দুধের খাবারে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে।  এটি শিশুদের উচ্চতা বাড়াতেও সাহায্য করে।


প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পেশীর জন্য অপরিহার্য:


 বয়ঃসন্ধিকালে পেশী মজবুত করতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, শিম, টোফু, মুরগির মাংস, সয়াবিন, ডাল, শুকনো ফল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন।  এটি তাদের বিপাককে গতি দেয়।  প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।  এ কারণে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সময় শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকে।


 কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ জিনিস শক্তি দেবে:


 কিশোর-কিশোরীদের ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন, তবে সাধারণ খাবারের চেয়ে জটিল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন, কারণ তারা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে, যা এই বয়সে শিশুদের দৈনন্দিন শারীরিক কার্যকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়।  এ জন্য খাদ্যতালিকায় বাজরা, জোয়ার, রাগির মতো গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করুন।  এর পাশাপাশি স্টার্চি সবজি যেমন আলু এবং মিষ্টি আলুও ডায়েটের অংশ করুন।


 ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার:


 কিশোর-কিশোরীদের জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে শিশুদের রোগ থেকে রক্ষা করে, যার কারণে তাদের বৃদ্ধি ভালো থাকে।  এই বয়সে মাইক্রো যৌগ জিঙ্ক ছাড়াও শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়।  এই সমস্ত পুষ্টি খাবারের মাধ্যমে পূরণ করা যেতে পারে।  এ জন্য খাদ্যতালিকায় প্রচুর ফল, বীজ এবং সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad