এই নদী তার গতিপথ পরিবর্তনের জন্য বিখ্যাত
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ নভেম্বর : কোশী নদী "বিহারের দুঃখ" নামে পরিচিত। আমরা গিরগিটির রঙ পরিবর্তনের কথা শুনেছি, তবে জেনে অবাক হবেন যে কোশী নদী তার গতিপথ পরিবর্তনের জন্য পরিচিত। এই আন্তঃসীমান্ত নদী, যা চীন, নেপাল এবং ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, ঘন ঘন তার গতিপথ পরিবর্তন করে এবং ধ্বংস ও পরিবর্তনের পথ রেখে যাওয়ার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে। তিব্বতের গ্রেট হিমালয়ের ঢাল থেকে উঠে আসা কোশী নদী তার সাথে প্রচুর পলি নিয়ে আসে। এটি নেপালের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এটি আরও পলি সংগ্রহ করে, যার ফলে পলি এবং বালির ভারী বোঝা তৈরি হয়। নদী যখন সমভূমিতে পৌঁছায়, তখন এই পলি জমা হয়, অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করে যা এর প্রাকৃতিক প্রবাহকে বাধা দেয়।
কেন এই নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে:
কোশী নদীর গতিপথ পরিবর্তনের উত্তর এই পলি জমার মধ্যেই রয়েছে। এই জমার ওজন এবং আয়তন প্রায়ই নদীর গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে জল বিকল্প পথ খুঁজে নেয়, নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে এবং আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক বন্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায়।
এই প্রাকৃতিক ঘটনাটি কোশী নদীকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত এবং অস্থির নদীগুলির একটি হিসাবে একটি খ্যাতি দিয়েছে, যা এর আশেপাশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে৷ এর গতিপথের ঘন ঘন পরিবর্তনের কারণে, বাঁধ ও চ্যানেল নির্মাণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে এর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও, নদীটি একটি নির্দিষ্ট গতিপথের মধ্যে এটিকে সীমাবদ্ধ করার প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করে চলেছে।
ব্যাপক ক্ষতি হয়:
এই নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষের জন্য এটি একটি জীবনরেখা এবং দুর্ভোগের উৎস দুই হয়ে থাকে। যদিও এটি কৃষির জন্য উর্বর মাটি সরবরাহ করে, তবে এর গতিপথে আকস্মিক পরিবর্তন ধ্বংস নিয়ে আসে, সম্প্রদায়গুলিকে বাস্তুচ্যুত করে এবং সম্পত্তি এবং জীবিকার ব্যাপক ক্ষতি করে।
No comments:
Post a Comment