ত্বক রুক্ষ হওয়া আটকাবে এই উপায়
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২২ নভেম্বর : আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের ত্বক অনেক বেশি প্রভাবিত হয়। আবহাওয়া ঠাণ্ডা হতে শুরু করলে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, যার কারণে আমাদের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। শুষ্ক ত্বকের কারণে ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও শুষ্কতা দেখা দেয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা চলে যায়। কিন্তু কিছু ঘরোয়া উপায়ে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিছু জিনিস আছে যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বকের কোষ মেরামত করে। আসুন জেনে নেই ঘরোয়া উপায়ে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কীভাবে দূর করা যায়-
হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন:
প্রথমত, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়ও সবসময় হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের ছিদ্র খুলে যায় এবং শুষ্ক হতে বাধা দেয়। রাতে ঘুমনোর আগে অ্যালোভেরা জেল লাগালেও ত্বক ময়েশ্চারাইজড থাকে। এছাড়াও, সপ্তাহে দুবার বেসন এবং মধু দিয়ে ফেসপ্যাক লাগালে ত্বক সুস্থ, উজ্জ্বল এবং কোমল থাকে।
কাঁচা দুধ ও দই ব্যবহার:
কাঁচা দুধ এবং দই ফেস মাস্ক ত্বককে গভীরভাবে হাইড্রেট করে। এটি ত্বককে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা দিয়ে পূর্ণ করে যা পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি পাওয়া যায়, যা ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি দাগ, ফোলাভাব এবং বলিরেখা কমাতেও কার্যকর। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে নতুন কোষ তৈরি হয় যা ত্বককে আরও তরুণ দেখায়। এগুলোর প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বক থাকে সুস্থ, উজ্জ্বল ও কোমল।
তুলসী ও হলুদ-চন্দনের পেস্ট:
ঋতু পরিবর্তনে আক্রান্ত ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য তুলসী এবং হলুদ-চন্দনের পেস্ট খুবই উপকারী। তুলসীর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। হলুদে কারকিউমিন নামক একটি যৌগ থাকে যা ত্বককে নরম ও কোমল করে। চন্দন কাঠের অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই দুটির সংমিশ্রণ ত্বকের জন্য বর হিসেবে প্রমাণিত হয়।
No comments:
Post a Comment