চীনের নেপালি গোর্খাদের নিয়ে নতুন কৌশল
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৫ নভেম্বর: চীন নেপালের গোর্খাদেরকে নিজেদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ব্যবস্থা করছে। নিরাপত্তা সূত্র সতর্ক করেছে যে ভারত যদি এই গোর্খাদের যথাযথ যত্ন না নেয়, তবে চীন তাদের তাদের পাশে নিতে পারে। এর মানে হল যে গোর্খারা একবার ভারতের পক্ষে যুদ্ধ করেছিল তারাই কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে। বর্তমানে গোর্খারা ভারত ও ব্রিটেন দুই সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত।
আসলে, গোর্খা হল নেপালের সেই মানুষ যারা তাদের বীরত্বের জন্য বিখ্যাত। ১৮১৫ সালে নেপালের সাথে শান্তি চুক্তির পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে গোর্খাদের প্রথম নিয়োগ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি ভারতীয় ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হয়ে কয়েক দশক ধরে বহু যুদ্ধে লড়েছেন। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অধীনে, দশটি গোর্খা রেজিমেন্টের মধ্যে ছয়টি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশ হয়ে ওঠে এবং চারটি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিপক্ষীয় চুক্তির কারণে গোর্খাদের ভারতীয় ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ব্রিটেনে ৪০০০জন গোর্খা সৈন্য রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের আনা অগ্নিপথ প্রকল্পের কারণে গোর্খারা এখন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে নারাজ। তারা মনে করেন যে চার বছরের চাকরির পরে যখন মাত্র ২৫ শতাংশ ধরে রাখা হবে, তখন তাদের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার কোনও মানে নেই।
প্রকৃতপক্ষে, ১৮ শতকে চীনের কিং রাজবংশ এবং নেপালের রাজার মধ্যে একটি যুদ্ধ হয়েছিল। এরপর শান্তির জন্য নেপাল ও চীনের মধ্যে ১৭৯২ সালের বেত্রাবতী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় চীন নেপালকে বহিরাগত আক্রমণ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদি সূত্রের বিশ্বাস করা হয়, এখন এই চুক্তির আওতায় চীন নেপালি গোর্খাদের আরও ভালো অফার দিয়ে একীভূত করার চেষ্টা করছে। চাকরি ও উন্নত সুযোগ-সুবিধা দিয়েও প্রলোভন দিচ্ছেন তিনি।
চীন থেকে নেপালি গোর্খাদের ৩০ হাজার রুপি দেওয়া হচ্ছে বলেও তথ্য বেরিয়ে আসছে। এই টাকার বিনিময়ে লাদাখের মতো এলাকায় চীনা সেনাবাহিনীর হয়ে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বলা হচ্ছে। উচ্চ উচ্চতায় গোর্খাদের যুদ্ধে দক্ষতা রয়েছে। এসব এলাকায় চীনা সৈন্যরা পিছিয়ে আছে। এ কারণে চীন তাদের প্রলুব্ধ করছে। ভারত ও চীনের মধ্যে লাদাখে সীমান্ত বিরোধ চলছে।
No comments:
Post a Comment